Lead Newsক্রিকেটখেলাধুলা

আগমনী বার্তা দিলেন ‘আকবর দ্য গ্রেট’

পচেফস্ট্রুম বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ঘাঁটি হয়ে গেছে। এই ভেন্যুতেই যুব বিশ্বকাপের সব ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ দল। তার আগে প্রস্তুতিও এখানে সেরেছে তারা। এক মাসেরও বেশি সময় পচেফস্ট্রুমে থাকায় সেখানকার কন্ডিশন, উইকেট সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। ফাইনালের আগে তাই খোদ ভেন্যুই বাড়তি শক্তি জুগিয়েছে। স্বপ্নের ফাইনালে কাল টস-ভাগ্যও সঙ্গী হল বাংলাদেশের। আগেরদিন বেশ বৃষ্টি হয়েছে, উইকেট ছিল কিছুটা

টস জিতে ফিল্ডিং নিতে ভুল করেননি আকবর আলী। শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং ও চমৎকার ফিল্ডিংয়ে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। তিন পেসার শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান ও অভিষেক দাসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে যুব বিশ্বকাপের সফলতম দল ভারতকে মাত্র ১৭৭ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে সবার প্রত্যাশা ছিল শিরোপা জেতার। তবে কোচিং স্টাফ ও সাবেক ক্রিকেটারদের পরামর্শ ছিল চাপমুক্ত থেকে খেলার। আকবর আলীরাও বলেছেন তারা চাপ নিচ্ছেন না।
ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রত্যাশা থাকে, থাকবেই, ১৯ বছরে এগুলো ভাবার সময় কোথায়, চাপ নয় ফাইনালটা উপভোগ করুক ছোট ভাইয়েরা।’ যুবারা সেই উপভোগের মন্ত্র জপেই নেমেছিলেন কাল। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড হওয়ায় সেমিফাইনালে দুই পেসার ও তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষ ভারত হওয়ায় পরিকল্পনা পাল্টে ফাইনালের একাদশ সাজায় টিম ম্যানেজমেন্ট। একজন স্পিনার কমিয়ে পেসার বাড়িয়ে মাঠে নামে দল।

শুরুতে শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানই নিতে পারছিলেন না ভারতের দুই ওপেনার। শরিফুলের পর তানজিমও মেডেন দিয়ে শুরু করেন। ছয় ওভারে ভারত তুলতে পারে মাত্র আট রান। বাংলাদেশের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে চাপে পড়ে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। স্পিনার হাসান মুরাদের জায়গায় সুযোগ পাওয়া অভিষেক দাসই দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন। ১৭ বলে দুই রান করা দিব্যানাশ সাক্সেনাকে মাহমুদুল হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন অভিষেক।
দ্বিতীয় উইকেটে জয়শাল ও তিলক ভর্মা ৯৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোরের আশা জাগাচ্ছিলেন। তিলককে ফেরান তানজিম। তিন উইকেটে এক সময় ভারতের রান ছিল ১৫৬। কিন্তু এরপরই দারুণ ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। শামীম হোসেন ও আকবর আলীর দারুণ কম্বিনেশনে ধ্রুব জুরেলকে ফেরায় বাংলাদেশ। এরপর বোলার শরিফুল রানআউট করেন রবি বিঞ্চুকে।

তিন পেসারের কম্বিনেশনে ভারত আর মাথা উঁচু করার সুযোগই পায়নি। ৮৮ রান করা জয়শাল একাই যা লড়াই করেছেন। শরিফুল ও তানজিম দুটি করে এবং অভিষেক তিনটি উইকেট নেন। ২১ রানের মধ্যে ভারত শেষ সাত উইকেট হারায়। যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে তরুণরা বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাটা জানিয়ে দেন।

 

আরও খবর পেতেঃ খেলাধুলা ভাইরাল

Sports news, sports news

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 4 =

Back to top button