মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, মুজিববর্ষ সামনে রেখে দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক লাখ নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বুধবার দুপুরে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের (সফল নারী) সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রথম নারী মুক্তি ও নারী-পুরুষের সমতার কথা ভেবেছেন। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই ’৭২-এর সংবিধানে। যেখানে অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি নারী-পুরুষের সমতার কথাও বলা আছে।
প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষে আমরা বাল্যবিবাহ রোধে মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। আপনারা প্রশাসনে আছেন। বাল্যবিবাহ রোধে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা যাতে বাংলাদেশকে বাল্যবিবাহমুক্ত করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পাঁচ শ্রেণিতে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা জানানো হয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী হিসেবে গোপালগঞ্জের ফেরদৌসী আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ঢাকার আখতারী বেগম, সফল জননী নারী হিসেবে মানিকগঞ্জের রেখা রানী ঘোষ, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন ক্যাটাগরিতে ঢাকার অরনিকা মেহেরিন ঋতু এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য ঢাকার ভেলরী এন টেইলরকে সম্মাননা জানানো হয়।