কূটনীতিজাতীয়

চীনে আটকেপড়া বাংলাদেশীদের সেখানে থাকাই উত্তম বিকল্প!

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে চীনে পড়াশোনারত বাংলাদেশীদের যথাযথ চিকিৎসা সুরক্ষা এবং বাংলাদেশে এর বিস্তার রোধে আপাতত সেখানে অবস্থান করাই উত্তম।

জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাসস-এর প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে সোমবার তাঁর কার্যালয়ে এক বৈঠককালে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নিজেদের সুরক্ষার খাতিরে তাদের চীনে থাকাই এখন উত্তম বিকল্প।’ খবর বাসস।
জিমিং বলেন, তবে এখন পর্যন্ত চীনে কোন বাংলাদেশী ছাত্র করোনাভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার এবং অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

তিনি বাসস প্রধানকে জানান, সম্প্রতি তিনি চীনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বর্তমানে সেখানেই থাকার পরামর্শ দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যা স্থানীয় চীনা কর্র্তৃপক্ষ প্রাপকদের কাছে প্রেরণ করেছে।

চিঠিটির একটি অনুলিপি আজাদকে দেওয়া হয়। এতে লেখা হয়েছে: “নিজেদের এবং দেশে থাকা প্রিয়জনদের সুরক্ষার স্বার্থে চীনে থাকাই এখন আপনাদের জন্য উত্তম বিকল্প। যদিও এটি আপনাদের জন্য একটি ছোট্ট ত্যাগ।” চিঠিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরার আকাক্সক্ষাকে স্বীকার করে নিয়ে এ ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ‘তীক্ষ্ণ বিচার বোধ’-কে কাজে লাগানোর আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘আমি সর্বোচ্চ বিবেচনাসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনাদের ওপর নির্ভর করছি এবং আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে বাঙালি জাতির সদস্য হিসাবে আপনি আপনার দেশ এবং আপনার জনগণকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না।’

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের দুর্দশার বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, গত শীতকাল তাদের জন্য বিশেষ কঠিন ছিল, বিশেষ করে যারা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে ছিলেন তাদের জন্য।

রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদকে বলেন যে চীনে আটকে পড়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা একা নন, কেননা তাদের সহপাঠী এবং শিক্ষক, স্থানীয় চীনা কর্তৃপক্ষ এবং সারা চীনের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা তাদের পাশে আছেন।
তিনি বলেন, চীন সরকার বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ বজায় রাখতে সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে।

বৈঠকে জাতীয় সংবাদ সংস্থা প্রধান এবং চীনা দূত ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন এবং বিএসএসের জন্য চীনা সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

 

আরও খবর পেতেঃ ভাইরাল নিউজবিচিত্র 

Daily newspaper, Daily newspaper

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − two =

Back to top button