দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় এই এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা তুলে ধরে মজা করেন বলেন, সবচেয়ে বড় কথা, আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে পারব।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা আট লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধন করেন। ৫৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়ক দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সব সময় অবহেলিত ছিল। দীর্ঘ ভোগান্তি নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যেতে হত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সড়কগুলো উদ্বোধনের ফলে মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, এই পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। আমি সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। অবশেষে কানাডার কোর্টে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। এটি দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের এর ফলে এ সড়ক দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়েটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, শরীয়তপুর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, খুলনা জেলাসহ আশপাশের সব জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগে নিরাপদ ও আরামদায়ক করে দিলেন।
এর আগে এক্সপ্রেসওয়েটি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক ট্রাফিক ডিজাইন সমন্বিত এ এক্সপ্রেসওয়ে উন্নত বিশ্বের সড়কের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্মিত। সার্ভিস লেনের দু’পাশে সবুজায়নের জন্য বনায়ন করা হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার সড়কের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নত হচ্ছে, তা এ সড়ক দেখলেই বোঝা যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
আরও নতুন খবর পেতে দেখুনঃ আন্তর্জাতিক সংবাদ – প্রবাস জীবনের সংবাদ
Positive News, Positive News