Lead Newsকরোনাভাইরাস

করোনামুক্ত উহান; আতশবাজি ফুটিয়ে উদযাপন

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি শহর চীনের উহানে গত তিন দিনে কোনো কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি। ফলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেখানকার জীবনযাপন। মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে বসানো  তল্লাশিচৌকিগুলো এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। উহানের এই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে বিশ্বব্যাপী বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর উহানবাসী এই অর্জন উদযাপন করছে আতশবাজি পুড়িয়ে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ নিজ প্রদেশে চলে গেছেন।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত জানুয়ারি মাসে উহান শহর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপরও মানুষ যাতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে, সে জন্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে এমনটা জানিয়ে ইতিমধ্যে উহানে স্থাপিত ১৬টি অস্থায়ী হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।  মানুষ কাজে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে উহানের তল্লাশিচৌকি অপসারণ। তবে শহরের বাইরে যাওয়ার ওপর এখনো কড়াকড়ি অব্যাহত আছে।

তবে টানা তিন দিন কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী না পাওয়াকে অনেকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করছেন না। কেউ কেউ মনে করেন, আরও সতর্কতার প্রয়োজন আছে। তাঁদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা ওয়েন জি। তিনি বলেন, নতুন করে কারও আক্রান্ত না হওয়ার বিষয়টি তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না। তাই বাড়িতে থাকাই অধিকতর নিরাপদ।

প্রতীকী ছবিকরোনাভাইরাসের উৎপত্তি যে শহর থেকে, সেই চীনের উহানে টানা তিন দিন কোনো কোভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি। সেখানকার জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। শহরের তল্লাশিচৌকিগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব চৌকি বসানো হয়েছিল মানুষের যাতায়াত ঠেকাতে। উহানের এই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে বিশ্বব্যাপী বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর এই অর্জন উদযাপন করছে উহানবাসী। কেউ কেউ আতশবাজি পুড়িয়ে তল্লাশিচৌকি অপসারণ উদযাপন করছে।

 

তবে টানা তিন দিন কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী না পাওয়াকে অনেকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করছেন না। কেউ কেউ মনে করেন, আরও সতর্কতার প্রয়োজন আছে। তাঁদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা ওয়েন জি। তিনি বলেন, নতুন করে কারও আক্রান্ত না হওয়ার বিষয়টি তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না। তাই বাড়িতে থাকাই অধিকতর নিরাপদ।

চীনের কোথায় নতুন করে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হননি। তবে শুক্রবার পর্যন্ত ২৬৯ জন বিদেশ থেকে আক্রান্ত হয়ে চীনে এসেছেন। করোনা সন্দেহে গত মঙ্গলবার একজনকে পরীক্ষা করে নেগেটিভ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার আরেক পরীক্ষা পজিটিভ হয়। কিন্তু শুক্রবার তৃতীয় দফায় পরীক্ষাতেও পুনরায় নেগেটিভ ফল আসে। ৬২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির জ্বর বা কাশি নেই। ফলে তাঁকে আক্রান্ত ঘোষণা করা হয়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =

Back to top button