Lead Newsরাজনীতি

আজই মুক্তি পাচ্ছেন খালেদা জিয়া?

দীর্ঘ কারাজীবন শেষে মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে আজ বুধবারই তার মুক্তি হতে পারে– এমন আভাস পাওয়া গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে।

খালেদা জিয়ার কারামুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলো শেষ করতে না পারায় মঙ্গলবার তাকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি আভাস দেন, এ প্রক্রিয়া আজ শেষ হতে পারে।

এর আগে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে এবং এটি যে কোনো সময় ঘটতে পারে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর আগে বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতটি তারা পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দণ্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত হয়।

প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজই মুক্তি পেতে পারেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তবে মুক্তি পাওয়ার পর বিদেশে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ করেই ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুই শর্তে তাকে মুক্তি দেয়ার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খালেদা জিয়া বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিন বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল যুগান্তরকে বলেন, আইনমন্ত্রীর সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

এদিকে রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহীদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির ফাইল হাতে পেয়েছি। এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করব। মন্ত্রীর অনুমোদনের পর সেই ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদনের পর তাকে মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এর পরই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্ত হওয়ার পর পরই দফায় দফায় বৈঠক করেন দলের সিনিয়র নেতা ও পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্য ও দলের নেতাদের সঙ্গে লন্ডনে অবস্থানরত খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান কথা বলেন।

মুক্তি পাচ্ছেন- এমন খবর পাওয়ার পর গুলশানে অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসা (ফিরোজা) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করা হয়।

সন্ধ্যায় গুলশান কার্যালয়ে বসে স্থায়ী কমিটির বৈঠক। বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির খবরে নেতাকর্মীরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে নেতাকর্মীদের হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর পাওয়ার পর করোনাভাইরাস আতঙ্ক উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের অনেকে ছুটে যান হাসপাতালে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিব-উন নবী খান সোহেলসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেন।

হাসপাতাল প্রাঙ্গণে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। এতে নেতাকর্মীরা সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। তবে করোনাভাইরাসের কারণে হাসপাতালের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় না করার অনুরোধ জানান তিনি। জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

আইনমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন: মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় গুলশানের নিজ বাসায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমার কাছে একটা দরখাস্ত করেছিলেন, খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়ার জন্য। সেখানে অবশ্য উনি বলেছিলেন লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদনটি করা হয়েছে। এর পরে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার বোন সেলিমা ইসলাম এবং তার বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানেও এই আবেদনের বিষয়ে কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছিলেন নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।’

তিনি বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা (১) অনুযায়ী খালেদা জিয়ার যে সাজা, সেটা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি মতামত দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমার মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি এবং আমি আপনাদের এখানে উল্লেখ করেছি যে, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তার নির্দেশ হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়ায় দুই শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা কথা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এখানে বলা হচ্ছে না যে তিনি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন না। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে তার কন্ডিশনের ওপরে দেখা যাবে, সেই জন্যই কথাটা উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

আর এ কারণে খালেদা জিয়াকে বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে দণ্ডাদেশ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, তার সাজাটা স্থগিত করা হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় উপধারা (১) অনুযায়ী। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি হাসপাতালে নিশ্চয়ই যেতে পারবেন।

কিন্তু হাসপাতালে যদি ভর্তি হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতাল (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল) সেখানে তো তিনি আছেনই। সেখানে তো তার চিকিৎসা চলছেই। সেখানে ভর্তি হতে হবে, সেটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাবে, কিন্তু শর্ত হচ্ছে, তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। ওই সময়ে তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না। কখন তাকে মুক্তি দেয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দেবে, তখন তিনি মুক্তি পাবেন। তিনি বিদেশে যেতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আজকের পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশে পাঠানো মানে সুইসাইড করতে বলা।

জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুগান্তরকে বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা (১) মতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে আদালতের কোনো অনুমতি লাগবে না। তিনি যদি খালাস পেতেন, তাহলে এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনার প্রয়োজন পড়ত।

পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্ত : সাজা স্থগিতের সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আলোচনায় বসেন। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়াকে কোথায় নেয়া হবে, সে ব্যাপারে কথা বলেন লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। পরিবারের সদস্যদের কেউ কেউ তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করার পক্ষে মত দেন। আবার কয়েকজন মত দেন মুক্তি পাওয়ার পর তাকে সরাসরি হাসপাতালে নেয়ার। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতাল ইউনাইটেডে ভর্তির কথা বলেন তারা। তবে এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মতামতকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

সূত্র জানায়, মুক্তির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার পর আত্মীয়স্বজনরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তার মতামত নেয়া হবে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত হবে। এদিকে বিকালে মুক্তির সিদ্ধান্তের খবর জানার পরই খালেদা জিয়ার বাসা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শুরু হয়। বাড়ানো হয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সদস্য সংখ্যাও।

স্থায়ী কমিটির বৈঠক : মুক্তির খবর পাওয়ার পর পরিবার ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা করণীয় চূড়ান্তে বৈঠকে বসেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে যুক্ত হন তারেক রহমান। মুক্তির পর কোথায় নেয়া হবে, তা নিয়ে নেতারা মতামত দেন। তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি পরিবারের সদস্য ও চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তারা।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে আমরা কিছুটা আবেগ আপ্লুত তো বটেই, কিছুটা স্বস্তিও বোধ করছি। আবার আমরা কিছুটা আতঙ্কিত বোধ করছি। এই ভয়ঙ্কর সময়ে তার এই মুক্তি, তার কোনো ক্ষতি না ঘটে।

আমরা তার মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করেছি। দেশনেত্রীর পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তার সাময়িক মুক্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তার মুক্তির ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেয়া হয়েছে। তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এটা আমাদের কাছে ঠিক বোধগম্য নয়। কারণ পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছেন। যাই হোক, দেশের মানুষ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা আজকে স্বস্তিবোধ করছেন। দীর্ঘকাল পরে আজ দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আইনগতভাবে, সাংবিধানিকভাবে তার যেটা প্রাপ্য, সেই মুক্তি তিনি পেয়েছেন। আমরা আশা করি, ঠিক সময়েই কারাগার থেকে বেরুতে পারবেন।

জনগণ ও নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য। আজ মুক্তি পাচ্ছে- এজন্য আপনারা আবেগাপ্লুত হবেন। তাকে একনজর দেখার জন্য কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু আজ সমগ্র বিশ্বে যে ভয়ংকর মহামারী করোনাভাইরাস, যাতে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে।

লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। বেশির ভাগ দেশ লকডাউন করা হয়েছে। বিলম্বে হলেও বাংলাদেশে কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তবে লকডাউন করা হয়নি। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া যদি বেরিয়ে আসেন, নেতাকর্মীরা আবেগের বশবর্তী না হয়ে সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শান্ত থাকতে হবে, দূরে থাকতে হবে। বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনে ও ম্যাডামের বাসভবনের সামনে ভিড় করবেন না। আলাদাভাবে থাকার বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে থেকেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কীভাবে বাসায় চিকিৎসা শুরু করা যায়, সেটাও আমরা ব্যবস্থা রাখছি। তবে ম্যাডামের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে তিনি কি হাপাতালে চিকিৎসা নেবেন, না বাসায় চিকিৎসা নেবেন।

হাসপাতাল ও বাসভবনের সামনে জড়ো না হওয়ার নির্দেশ : এদিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল ও খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের জড়ো না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে রিজভী বলেন, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনে ও গেটের ভেতরে জমায়েত না হন। এই জমায়েতের কারণে চলমান করোনাভাইরাস মহামারীর ভয়াবহ বিপর্যয়ের সময়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা এবং জমায়েত হওয়া দলীয় নেতাকর্মীরা উচ্চ ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি : -সেলিনা ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা দরকার ছিল। তাই আমরা সাক্ষাৎ করেছি। সাক্ষাৎ করে তাকে বলেছি, তাকে (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে চাই। তার দুই হাত বেঁকে গেছে। দাঁড়াতে পারে না, হাঁটতে পারে না।

পিঠে ব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। তিনি (খালেদা জিয়া) মৃত্যুশয্যায়। তাকে মুক্তি দিন। তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এই কাজ করেছেন। এ জন্য তাকে (প্রধানমন্ত্রী) অনেক ধন্যবাদ। সাক্ষাৎ করেছি বেশি দিন হয়নি। এই মার্চ মাসেই প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি।’ মঙ্গলবার রাতে মোবাইল ফোনে যুগান্তরকে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়ার বোন।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়ার বিষয়ে বোন সেলিনা আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিক আছে। আমরা খুশি হয়েছি। এতদিন পরে তিনি মুক্তি পাচ্ছেন। তার শরীর খুবই খারাপ। তার চিকিৎসা দরকার। আগেও বলেছি, আমি বারবার বলেছি। তার উন্নত চিকিৎসা দরকার, বাইরে নিয়ে যেতে চাই। জামিনের দরকার। সেটাই তারা কার্যকর করেছে। আমরা চিঠিও দিয়েছিলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

 

আরও খবর পেতে দেখুনঃ  করোনাভাইরাস সর্বশেষ নিউজকর্পোরেট নিউজ 

Positive News, Positive News, Positive News, Positive News, Positive News, Positive News

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 18 =

Back to top button