চীন থেকে এল আরও ৩০ হাজার কিট
চীন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছে আরও ৩০ হাজার করোনাভাইরাসের টেস্ট কিট। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের আলীবাবা ফাউন্ডেশন ও জ্যাক মা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অনুদান হিসেবে এই কিট পাঠিয়েছে।
চীনের অনলাইনভিত্তিক খুচরা পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান আলীবাবা। আলীবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা এর আগে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশকে মাস্ক, টেস্ট কিট আর নিরাপত্তা পোশাক অনুদান হিসেবে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এদিকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সহায়তা হিসেবে চীন সরকার বাংলাদেশকে এর আগে ১০ হাজার টেস্ট কিট, প্রথম সারির চিকিৎসকদের জন্য ১০ হাজার পিপিই ও এক হাজার থার্মোমিটার দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে একটি বিশেষ কার্গো উড়োজাহাজে এসব সরঞ্জামাদি ঢাকায় পৌঁছায়।
এছাড়া বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী পাওয়ার আগেই ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে ৫০০ টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীন। ওই সময়ে ‘বন্ধুত্বমূলক সহায়তা’ হিসেবে চীনাদের জন্য ১০ লাখ হ্যান্ড গ্লাভস, পাঁচ লাখ ফেস মাস্ক, দেড় লাখ মাথার ক্যাপ, এক লাখ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০ হাজার সু কাভার এবং ৮ হাজার গাউন পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
এ ছাড়াও কিট তৈরির বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে শুক্রবার ডা. জাফরুল্লাহবলেন, “সুলভমূল্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণের যে কিট আমরা উদ্ভাবন করেছি, তার কাজ চলছে। কাজের গতিও বেড়েছে। আমরা হোপফুল স্টেইজে আছি।করোনাভাইরাস শনাক্তের সহুজ উদ্ভাবনের দাবি করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
“আমরা আশা করি, এপ্রিলের সেকেন্ড উইকের মধ্যে সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তাদের কাছে কিটের স্যাম্পল জমা দিতে পারব। এরপর সরকারের ক্লিয়ারেন্স পেলে এই আগামী মাসেই আমরা উৎপাদিত কিট বাজারে দিতে পারব।”
গণস্বাস্থ্যের কিট উৎপাদনে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অফিস-ডিপার্টমেন্ট বন্ধ। সেজন্য একটু বিলম্ব হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে যে অর্ডার আমরা দিয়েছি তা এখনও আসেনি। এর বাইরে আমরা অলটারনেটিভ সোর্স থেকেও মালামাল আনছি। একই রিএজেন্ট চীনও এগ্ররি করেছে আমাদেরকে দেবে। চীনের মালামাল দিয়েই আমরা কাজ ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছি।”
আরও খবর পেতে দেখুনঃ কোবিড ১৯ খবর – বিবিধ বাংলা খবর
Positive News, Positive News