অবশেষে যুদ্ধবিমান দিয়ে আমাজনের আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা ব্রাজিলের
শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে মনে হচ্ছে ব্রাজিল সরকারের। বিশ্বের বৃহত্তম ‘রেইন ফরেস্ট’ তথা বর্ষাবন অ্যামাজনের দাবানল নেভাতে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে জায়ার বলসানরো প্রশাসন। আগুন নেভাতে মাঠে নামানো হয়েছে সামরিক বাহিনীকে। ব্যবহার করা হচ্ছে সামরিক পরিবহণ ও ট্যাঙ্কার উড়োজাহাজ।
হাফিংটন পোস্ট, সিএনএন ও ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, জি-৭ ও ইইউ সদস্য দেশগুলোর ব্যাপক সমালোচনা ও হুমকিতে টনক নড়ে বালসাসনরো সরকারের। শুরুতে বালসানরো বলছিলেন, অ্যামাজনের আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে।
কিন্তু এটি সত্য ছিলো না। বরং প্রতিদিনই নতুন নতুন স্থানে জ¦লে উঠেছে আগুন। দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি সামরিক হারকিউলিস পরিবহণ বিমান থেকে হাজার হাজার লিটার পানি ছিটানো হচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বালসানরো রোববার থেকে অ্যামাজনের আওতাধীন সাত এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার অনুরোধের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিসংখ্যান বলছে, অতীতে কখনো অ্যামাজনে এতো অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেনি। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ (ইনপে) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম আট মাসে অ্যামাজনে রেকর্ডসংখ্যক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এ বছর ৮৫ শতাংশ বেশি আগুন লেগেছে।
চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত অ্যামাজনে অন্তত ৮০ হাজার অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। বলসানরো এক টুইটে বলেন, আলোচনার পর তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছ থেকে উড়োজাহাজ ও দমকল কর্মীদের সহায়তার প্রস্তাব নিয়েছেন।
রন্ডোনিয়ার বাইরে অন্য এলাকাগুলোয় সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি। প্রতিরক্ষা বিভাগ শনিবার এক ব্রিফিংয়ে জানায়, ব্রাজিলের উত্তরের অ্যামাজন অঞ্চলে ৪৪ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কোথায় এবং কীভাবে তারা কাজ করবে তা জানানো হয়নি। আমাদেরঅর্থনীতি.কম