ব্রেক্সিট-পরবর্তী ব্রিটেনকে ‘অনেক বড়’ বাণিজ্যচুক্তির প্রস্তাব ট্রাম্পের
ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুক্তরাজ্যের জন্য ‘অনেক বড়’ একটি বাণিজ্য চুক্তি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়াকে (ব্রেক্সিট) গোড়ালিতে বাঁধা নোঙ্গর খুলে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বের করে আনার জন্য বরিস জনসনই সঠিক মানুষ।
ফ্রান্সে চলমান জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে রোববার যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের সঙ্গে সকালের নাস্তা সরানে ট্রাম্প। সেখানেই তিনি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বড় বাণিজ্যচুক্তি করার ওই প্রস্তাব দেন।
এ ব্যাপারে জনসন বলেন, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি কোনো বাণিজ্য চুক্তি হয় তবে ট্রাম্পকে অবশ্যই তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজার উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
এবার ফ্রান্সের বিয়ারিৎজ শহরে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ‘শিগগিরই’ একটি বাণিজ্য চুক্তি হবে।
“আমরা বিশাল আকারের একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে যাচ্ছি। দুই দেশের মধ্যে এর আগে যেসব চুক্তি হয়েছে এটি তার তুলনায় অনেক বড় হবে।”
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে ওই সময়ের মধ্যে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে ব্যর্থ হন। ওই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে তিনি ক্ষমতা থেকেও সরে দাঁড়ান।
‘অবশ্যই ব্রেক্সিট হবে’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন বরিস জনসন। তিনি প্রয়োজনে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট করতে হলেও আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই দেশকে ইইউ থেকে বের করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সে অনুযায়ী তার হাতে আড়াই মাসেরও কম সময় আছে। অথচ এখনো সবকিছুই ভীষণ অস্পষ্ট। কবে ব্রেক্সিট হবে বা কিভাবে হবে। চুক্তি হবে নাকি চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হবে…এসব প্রশ্নের উত্তর কারো কাছে নেই।
যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলগুলোর আশঙ্কা ব্রেক্সিটের পর দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি দেখা দেবে। সেই সুযোগে ট্রাম্পের প্রথাবিরুদ্ধ শাসন নীতি এবং রাশিয়া ও চীনের আগ্রাসন যুক্তরাজ্যকে চারদিক দিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে।
ব্রেক্সিটের সমর্থকরা অবশ্য বলছেন, বিচ্ছেদের পর যুক্তরাজ্য অসুবিধায় পড়লেও তা হবে সাময়িক। দীর্ঘমেয়াদে তারা লাভবান হবে। (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)