করোনাযুদ্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যে চীনা চিকিৎসক
চীনের সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের হুয়াশন হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডা. ঝ্যাং ওয়েনহং। কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই চিকিৎসক।
করোনাভাইরাসের কবল থেকে শহরকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য নীতি তৈরিতে দারুণ অবদানের জন্য তাঁকে সাংহাইয়ের দ্বাররক্ষী (গেটকিপার) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খবর : ইউএনবি।
ঢাকায় চীনের দূতাবাস মনে করে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ডা. ঝ্যাংয়ের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশও উপকৃত হতে পারে।
বুধবার ঢাকায় মিশনের উপপ্রধান ইয়ান হুয়ালং জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ফ্রন্টলাইন চিকিৎসকদের (যাঁরা সরাসরি করোনায় আক্রান্ত রোগীর সেবায় নিযুক্ত) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করার জন্য ডা. ঝ্যাংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হয়েছিল, সাংহাইয়ে অন্তত আট লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবে। কিন্তু ডা. ঝ্যাং ও তাঁর দলকে নিয়ে সাংহাই কর্তৃপক্ষ ভ্রমণ, লোকসমাগম বন্ধ ও সামাজিক দূরত্ব তৈরিসহ নানা বিধি আরোপ করায় ২৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাংহাইতে নিশ্চিতভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৩০০ জনেই সীমাবদ্ধ থাকে।
‘একই সঙ্গে আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ৯৫ শতাংশকে সুস্থ করে তুলেছিলেন ডা. ঝ্যাং ও তাঁর দল,’ যোগ করেন তিনি।
সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অন্যান্য দেশের যুদ্ধের সময় ডা. ঝ্যাং তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ করোনাভাইরাসের সর্বশেষ খবর – ভাইরাল নিউজ বাংলাদেশ
Bangla Newspaper Online, Bangla Newspaper Online