করোনাভাইরাসজাতীয়

তবুও গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাকরি বাঁচানোর লড়াই

বাংলাদেশে করোনার ভয়াবহতা রুখতে দেশব্যাপী লকডাউন চলছে। দু’জনের বেশী জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক মিছিল করে ছুটছেন কর্মস্থলে।

মালিকদের টেলিবার্তা কাল গার্মেন্টস খুলছে। কাজে যোগ দিতে হবে। এই বার্তা পাবার পর শ্রমিকরা করোনার প্রচণ্ড ঝুঁকি মাথায় নিয়ে যাচ্ছেন কাজে যোগ দিতে। গাদাগাদি করে তারা ফিরছেন। গন্তব্য গাজীপুর। বেশীরভাগ কারখানা গাজীপুর অঞ্চলেই।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দিয়েই কেউ যাচ্ছেন ট্রাকে, কেউ যাচ্ছেন ভ্যানগাড়িতে। কেউ যাচ্ছেন পায়ে হেঁটে। বরিশাল অঞ্চলের শ্রমিকরা আসছেন লঞ্চে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর নেতারা বলছেন, কারখানা চালুর ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সম্পূর্ণ মালিকদের উপর। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল দিচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানাও করছে। এরমধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই মিছিল দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক কারণ তারা ঘরে বন্দি দিনের পর দিন।

ওদিকে ঢাকায় হঠাৎ করেই করোনার প্রকোপ বেড়েছে। গত চব্বিশঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। এরমধ্যে ৮ জনই ঢাকার। ২টি শিশুও আক্রান্ত হয়েছে। রোগতত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সংবাদ সম্মেলনে করোনায় আরো ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, ঢাকায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দুজন বিদেশ ফেরত। বাকিরা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন করোনার মৃত্যুর আশংকা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার ভাষায় এসব রিপোর্ট অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জাতিসংঘের ফাঁস হওয়া একটি প্রতিবেদনের বরাতে আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে, করোনায় বাংলাদেশে ২০ লাখ লোকের প্রাণহানী ঘটবে।

ওদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে করোনায় অর্থনৈতিক প্রভাব থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।

 

আরও খবর দেখুনঃ করোনাভাইরাস নিউজপ্রবাস নিউজ

News Bangla 24, News Bangla 24

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + six =

Back to top button