বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনি আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে রায় কার্যকর করার জন্য আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই রায় কার্যকর করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের তার আবাসিক অফিস থেকে একটি বার্তায় এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আব্দুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামি। ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়। আব্দুল মাজেদকে সলিটারি কনফাইনমেন্টে রাখা হবে। এ হিসেবে তিনি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি সৃষ্টি করবেন না।
আনিসুল হক বলেন, ‘মাজেদ কেন্দ্রীয় কারাগারে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে কিনা, এমন প্রশ্ন আমার কাছে এসেছে। কেননা, আবদুল মাজেদকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে এবং সে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত একজন আসামি। ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত আসামিদের সলিডারি কনফাইনমেন্টে রাখা হয়। তাই আবদুল মাজেদকেও সলিডারি কনফাইনমেন্টে রাখা হবে। সেহেতু সে করোনাভাইরাস ছড়ানোর কোনও ঝুঁকি সৃষ্টি করবে না।’
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ গত ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার (৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এরপর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত ১৬ মার্চ তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর সোমবার (০৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টায় মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
আরও খবর পড়ুনঃ বিচিত্র বাংলা নিউজ – টপ ভাইরাল নিউজ
Bd Newspaper, Bd Newspaper