রাজনীতি

আমরা জনগণের ভোটে জয়ী হতে চাই: তোফায়েল

নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হওয়ার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এ নির্বাচনকে আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা জনগণের ভোটে জয়ী হতে চাই। এর জন্য ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইব। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কোনোভাবেই বিতর্কিত হতে দেয়া হবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগের এ বর্ষীয়ান নেতা।

সোমবার সকালে রাজধানীর বনানীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে গণমাধ্যমের পরিচিতি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, তারা ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে থাকতে পারলে ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীরা কেন পারবেন না? এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ অন্য শীর্ষ নেতারা মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিতে পারলেও আওয়ামী লীগের এমপিরা পারবেন না, এটা হতে পারে না। তিনি বলেন, মওদুদ এমপি নন, তিনি মিটিং করতে পারবেন, বক্তৃতা দিতে পারবেন তাতে কোনো বাধা নেই।

আর আমরা এমপি, আমরা মিটিং করতে পারব না সেটা তো হয় না। তারা বলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, এটা কোন ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হল? সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল বলেন, তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, সাবেক মন্ত্রী-এমপি। তারা যেতে পারবে, আমরা যেতে পারব না এটা তো হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমরা এ নির্বাচনটাকে সাংঘাতিক গুরুত্বসহকারে নিয়েছি। আমরা এ নির্বাচনকে কোনোভাবেই বিতর্কিত করব না, কোনোভাবেই না। ঢাকা শহরের মানুষ দেখবে একটা অবাধ নির্বাচন ঢাকা শহরে হয়েছে। আমরা সব শক্তি দিয়ে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করব।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল বলেন, একটা দল নির্বাচনে নেমেছে হতাশা নিয়ে। আপনারা যদি তাদের মুখের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা হতাশ। তারা বলে- ‘আমরা জানি এ নির্বাচনে জিততে দেবে না, সুষ্ঠু হবে না, তবুও আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’

এ বক্তব্যের মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যেই পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। তারা একের পর এক অহেতুক অভিযোগ করেন। তাদের দলের নাম বাংলাদেশ নেগেটিভ পার্টি হওয়া উচিত। অহেতুক মিথ্যা প্রচার করে নির্বাচনকে কলঙ্কিত না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বানও জানান তোফায়েল আহমেদ।

আতিক কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি দাবি করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৯ জানুয়ারির পর তিনি প্রার্থী। তিনি একটি নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করেছেন। আচরণবিধির কোথাও নেই যে তিনি এমনটা করতে পারবেন না। অভিযোগ করেছে বিএনপি, এটা তাদের কাজ। অভিযোগ করা বিএনপির ঐতিহ্য।

এ সময় ইভিএম নিয়ে প্রশ্নেরও জবাব দেন তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ইভিএম তো শেখ হাসিনার ঘোষণা করা ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলাফল। আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের উদাহরণ বারাক ওবামা কেনিয়ায় বক্তব্যে দেন। আমরা কত এগিয়েছি ডিজিটাল দেশ হিসেবে।

তারপরেও ইভিএম ব্যবহার করা বা না করা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। মতবিনিময় সভায় শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুবউল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও খবরঃ  কূটনীতিতোফায়েল আহমেদ

Tag: Daily Bangla Newspaper, Daily Newspaper Bangla

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + thirteen =

Back to top button