আন্তর্জাতিক

সেতু পার হলেই চীন থেকে রাশিয়া, তৈরি হলো নতুন ইতিহাস

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সম্পর্কের ইতিহাস বহু পুরনো। ষোড়শ শতকেরও আগেকার সময় থেকে এই দুই দেশের মধ্যে চলমান সম্পর্কের ইতিহাসের কথা জানতে পারা যায়। তখন চীন ও রাশিয়া সাইবেরিয়ার দুই বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত ছিল। ১৬৪০ সাল নাগাদ রাশিয়ার জনগণ রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য ও চীনের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে চলা বিশ্বের দশম বৃহত্তম নদী, আমুর নদীর দুই পাড় ঘেঁষে বসতি স্থাপন করে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে সড়কপথে সংযোগ স্থাপনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটিই চীন-রাশিয়ার মধ্যে প্রথম সেতু। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হলো নতুন ইতিহাস। সেতুটি রাশিয়ার ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সঙ্গে চীনের হেইহে অঞ্চলকে সংযুক্ত করবে। ২০২০ সালের শেষের দিকে যান চলাচলের জন্য এই সেতুকে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

এই সেতু তৈরির জন্য ১৯৮৮ সালে প্রথম চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে আলোচনা হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৫ সালে চীন ও রাশিয়া একটি চুক্তি করে। এরপর ২০১৬ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতু তৈরিতে ব্যয় হয় সাড়ে ২৯ কোটি ডলার (১৮.৮ বিলিয়ন রুবল)।

হেইলংজিয়াং নদীর ওপর তৈরি হওয়া ১০৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর ৫৪০ মিটার চীনে ও ৫৪০ মিটার পড়েছে রাশিয়ায়। দুই দেশের দুটি শহরকে সংযোগ করে- এমন সর্বশেষ নেওয়া পরিকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটি হচ্ছে ওই সেতু। আমুর নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সঙ্গে আরও ২০ কিলোমিটারের নতুন রাস্তা নির্মাণ করেছে একটি রুশ এবং চীনা কম্পানি, সূত্র বাংলাদেশ প্রতিদিন।

ডাচ্‌ স্থাপত্যবিদদের নকশায় সীমান্ত অতিক্রমকারী ‘কেবল কার’ ইউএনস্টুডিও (তারের ওপর ভর করে চলা গাড়ি) ২০২০ সালে হেইহি ও ব্লাগোভেসচেনস্ক শহরের সংযোগ স্থাপনকারী সেতুতে চালু হবে। এই কেবল কারে চড়ে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে মাত্র সাড়ে সাত মিনিট সময় লাগবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =

Back to top button