Lead News

জিয়া, এরশাদ, খালেদা এ মাটির সন্তান নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান, এইচ এম এরশাদ ও খালেদা জিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক ছিলেন না। কারণ, তাদের কারো জন্মই এ দেশের মাটিতে হয়নি। তিনি বলেন, ‘একমাত্র আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) এবং আমি এ মাটির সন্তান। আমাদের ছাড়া এখন পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা বাংলাদেশের বাইরে থেকে এসেছে।’

ইতালি সফররত প্রধানমন্ত্রী রোমের পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ইতালি শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বিহারে, এরশাদ কুচবিহারে এবং খালেদা জিয়া শিলিগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আপনারা যদি খেয়াল করে দেখেন, তাহলে দেখতে পাবেন আমি এবং বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কেউই বাংলাদেশের মাটির সন্তান নয়।’

‘বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে এ মাটির প্রতি আমার কিছু কর্তব্যবোধ রয়েছে’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য দেশকে ভালোভাবে জানা অপরিহার্য। অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন। তবে তাঁরা দেশকে ভালোভাবে জানতেন না। কেননা তাদের এ মাটিতে জন্মই হয়নি।’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, জাতির জনক এবং তিনি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা একটি দেশকে অবশ্যই বদলে দিতে পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা দেশের উন্নয়নের কথা কখনই ভাবেননি। ক্ষমতাকে আমরা জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ বলে মনে করি। এটি জনগণের সেবা করার সুযোগ… আর আমি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধু দেশের উন্নয়ন চায়। আমাদের আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। আমরা সামনে এগিয়ে যাব।’ বাংলাদেশের সব উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ এখন নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে বাংলাদেশকে ভিক্ষা দেওয়ার কথা বলি না। তারা এখন (উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সহযোগিতা করতে) আমাদের কাছে আসে।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মনীতি মেনে চলার আহ্বান জানান, যাতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। তিনি বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে এক হাজার জনকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার ডিজিটাল পাসপোর্টের পরে আধুনিক ই-পাসপোর্ট চালু করেছে।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অনেক সময় প্রবাসীদের হয়রানির শিকার হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে আমাদের দেশের কিছু মানুষের চরিত্রই খারাপ। যেই শুনে বাইরে থেকে আসবে, তখনই ভাবে যে একটু চাপ দিলেই মনে হয় কয়েকটা ডলার পাওয়া যাবে। ঘুষ যে দেয় সেও যেমন অপরাধী, যে নেয় সেও অপরাধী। উভয়ই সমান অপরাধী। দিয়ে দিয়েই আপনারা এ অভ্যাসটা খারাপ করেছেন। আগামীতে এ কাজটা আর করবেন না।’‌

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মো. ইদ্রিস ফরাজী ও ইতালিপ্রবাসী হোসনে আরা বেগম।

ইতালির রোমের পার্কো দে প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেলে ইতালি শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তব্য দেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : ফোকাস বাংলা

 

আরও খবর পেতেঃ জাতীয়ভাইরাল 

latest bangla news, latest Bangla news

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 5 =

Back to top button