জাতীয়সরকার

‘খুনি মাজেদের গ্রেপ্তার মুজিববর্ষে শ্রেষ্ঠ উপহার’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের গ্রেপ্তার মুজিববর্ষে জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ খুনি (আবদুল মাজেদ) শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনের সঙ্গেই যে জড়িত ছিল তা নয়, সে জেলে জাতীয় চার নেতার হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল। আজ এক ভিডিও কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি আইনের সুযোগ নিয়ে এ খুনি ওই সময়ের সরকারের আনুকূল্যে বঙ্গভবনসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে এ খুনি পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে যায়।’

‘আমাদের গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বশেষ জানতে পারে যে, এ খুনি দেশে এসে বাসায় আত্মগোপন করে আছে। তারা বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতায় সে ধরা পড়েছে,’ যোগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন। আমরা আশা করি, সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে খুব দ্রুত রায় কার্যকর করা যাবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেই দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) একটি দল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, নুর এবং রিছালদার মোসলেহ উদ্দিন এই তিনজনের অবস্থান সেখানে ছিলো। এছাড়া আরো কয়েকজন ছিলেন। এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি জেলহত্যায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে আমাদের জানা রয়েছে। খুনের পরে তিনি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক তিনি (আব্দুল মাজেদ) বঙ্গভবন এবং অন্যান্য জায়গা কাজ করেছেন। আমরা আশা করি, তার দণ্ডাদেশ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যকর করতে পারব।’ যারা যারা এই কাজে (গ্রেপ্তারে) সম্পৃক্ত ছিলেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে এটাকে মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার আমরা দেশবাসিকে দিতে পেরেছি বলে মনে করেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তৎকালিন জিয়াউর রহমান সরকার বিচারের বদলে নানা ভাবে পুরুস্কৃত করেছে। তাদের যাতে বিচার না হয়, সেই ব্যবস্থাটাও পাকাপোক্ত করেছিলেন। এই খুনিকে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সময় জিয়া সরকার দূতাবাসে চাকরি ছাড়া দেশে-বিদেশে চাকরি করেছেন। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তার আগে এই খুনি আত্মগোপন করেন। এরপর থেকে আমাদের গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।’

 

আরও খবর পড়ুনঃ  কোবিড ১৯ নিউজ প্রবাস নিউজ

Bangla News Latest, Bangla News Latest

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 3 =

Back to top button