রাজনীতি

ফজলে নূর তাপস সজ্জন ব্যক্তি: ইশরাক

ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে সজ্জন ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস একজন সজ্জন ব্যক্তি। তার প্রতি আবেদন থাকবে নির্বাচনে তিনি যাতে কোনো প্রভাব খাটানোর  চেষ্টা না করেন। শনিবার দুপুরে পুরান ঢাকার গোপীবাগে নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করবো রেজাল্ট যা হবে  সেটাই মেনে নেবো। কিন্তু ভোটে কোনো কারচুপি হলে সেটা কোনোভাবে মানবো না। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বাতিলের দাবি বাস্তবায়ন হবে কি না জানি না। আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে ইভিএমের ভোট সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়। কিন্তু আমাদের ওই আশঙ্কাটা আছেই। ইভিএমে ভোট সুষ্ঠুভাবে হবে না।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিন আগে ওয়ারী থানা এলাকায় একজন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।

বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, হামলা করবে করুক, এটা আমাদেরও দেশ। কারোও জমিদারি নয়, কারো দখলদারিত্ব চলবে না। আমরা আমাদের মতো কাজ চালিয়ে যাবো।
এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, আমি বারবার বলে আসছি নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী কোনো পরিবারের সেটা আমার দেখার বিষয় না। আমাদের শক্তি হলো জনগণ। এ দেশটা কোনো পরিবারের সম্পত্তি না। জনগণ আমার ডাকে সারা দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে এ দখলদারিত্ব ও  স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাবো।
তিনি বলেন, আমরা ভোটকেন্দ্র পরিচালনা কমিটি করবো। আমরা সবার সহযোগিতায় একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ইশরাক বলেন, আমরা অনেকগুলো সমস্যা চিহ্নিত করেছি। নারী ও শিশুদের বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছি। নারী ও শিশুদের বসবাসের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ শহর হিসেবে ঢাকা এখন এক নম্বরে। আমি পরিবেশের দিকেও নজর দেবো। আমরা রাস্তাঘাটের বিষয়ে যে ধারণা দিতে চাইছি সেটা হলো-কমন ইউটিলিটি টানেল। আগে কেউ এটা তাদের ইশতেহারে দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। সেটা হলো আমরা রাস্তার নিচ দিয়ে একটা কমন টানেল করবো। সেখানে সব সার্ভিস গুলো থাকবে। কতগুলো পয়েন্ট থাকবে যেখান থেকে কর্মীরা প্রবেশ করে কাজ করে বেরিয়ে আসবে। এতে প্রতি বছর রাস্তা খোঁড়াখুড়ির দরকার হবে না। সূত্র বিডি প্রতিদিন

 

আরও খবরঃ জাতীয়বিবিধ

Bangla News com, Bangla News com

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =

Back to top button