বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তিনি দুই বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। আর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই আজ বুধবার সকালে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান বলে জানা গেছে।
তিনি এমন দিনে মারা গেলেন, যেদিন তার নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই তারিখে ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হন।
লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার অন্যতম মালিক। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্রাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি। তিনি ২০১২ সালে মর্যদাপূর্ণ বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
১৯৭২ সালে তিনি সবকিছু নতুন করে শুরু করেছিলেন প্রায় শূন্য হাতে। নিজের হাতে তৈরি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছেন। ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা, সুনাম আর সততার স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে তিনি পান বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে নোবেল বলে খ্যাত। লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকারও অন্যতম মালিক। মিডিয়াস্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্রাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, চার বছর আগে এই দিনে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান লতিফুর রহমানের প্রিয় নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেন। আর সেই একই দিনে তিনিও মৃত্যুবরণ করলেন।
মৃত্যুর সময়ে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার আরেক মেয়ে শাজনীন রহমান ১৯৮৮ সালে গুলশানের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ আন্তর্জাতিক সংবাদ – সর্বশেষ করোনা আপডেট
Bangla News, Bangla News