Lead Newsজাতীয়

সুমন ব্যাপারী নৌ পুলিশের বাবুর্চি?

ঢাকার বুড়িগঙ্গায় মনিং বার্ড লঞ্চ ডুবির ১৩ ঘণ্টাপর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন ব্যাপারী সদরঘাট নৌ থানার পুলিশের একজন বাবুর্চি। দাবি টার্মিনালের একাধিক ভ্রাম্যমাণ হকারদের। হকাররা বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করছে। তাদের অভিযোগ বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন ও নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়ার এটা সাজানো নাটক।

সুমন নিজেকে একজন ফল ব্যবসায়ী দাবি করলেও তিনি গত দুই বছর ধরে সদরঘাট ‘নৌ থানা পুলিশের একজন বাবুর্চি’ হিসাবে কাজ করে আসছিলেন। পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ২৯ জুন রাত ১১টায় সুমন ব্যাপারীকে ভর্তি করার পর পর্যায়ক্রমে আট জন ডাক্তার তাকে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করছে। ডাক্তারদের মতে কোন ব্যাক্তি একটানা ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা পানির নিচে ডুবে থাকলে তার শরীরের চামড়া, পশম, মাথার চুল, হাত পাসহ মুখমন্ডল সাদা ফেকাসে হয়ে বালিতে চুল আঠাঁ আঠাঁ হয়ে যাবে।

সে ক্ষেত্রে সুমনের বেলায় এমন কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। বা তার সুরাতহালে এমন কিছু পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তার পরনে লুঙ্গি ও গেঞ্জিতেও সেইরকম কোন নমুনা দেখা যায়নি। অন্যদিকে নৌবাহিনীর ডুবারো দলের সদস্যরা ২৯ জুন সুমনকে উদ্ধার করে তারা বলেছেন আট টি ইয়ার ব্যাগের সাহায্যে মনিং বার্ড লঞ্চটি যখন পানির নিচ থেকে নদীর উপড় অংশে উঠে আসে তখন হঠাৎ সুমন নামের ওই ব্যক্তি সাঁতরিয়ে উঠার চেষ্টা করলে ডুবুুরিরা তখন তাকে উদ্ধার করছে।

সুমন তার বক্তব্যে বলেছেন, তিনি ইঞ্জিন রুমে ছিলেন। সেখানে বুডে যাওয়ায় পর অনেক পানি খেয়ে তার পেট ভরে গেছে। পরে তিনি প্রসাব করে হালকা হন। তার তিনি পানিবন্ধি অবস্থা ওজু করে নামাজ আদায় করেছেন। অনেকের ধারণা এগুলি তার কাল্পনিক সাজানো গল্প। তারা বলেন ২০০২ সালে ঢাকা বরিশালগামী তিন তলা লঞ্চ এমভি মানসী – ৩ লঞ্চটি ৫০০ শো যাত্রী নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে বিকাল ছয়টায় ছেড়ে পাগপা পৌঁছালে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পরে বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যায়।

সেই লঞ্চটিতে ডেগের নিচে ১৬ বছরের মেয়ে ও ৬৫ বছর বয়েসী মা আটকা পরে ছিলো। ওই লঞ্চ থেকে রাত ১২ টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সাবেক ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ও আজকের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আমিনের সহযোগীতায় ফতুল্লা থেকে সি বোটে করে গ্যাস সিলিল্ডার এনে মানসী লঞ্চের তলা কেট ওই মা ও মেয়েকে ছয় ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিন ঘন্টা পর মা ও মেয়ের হাসপাতালে জ্ঞান ফিরে।

সেখানে ১৩ ঘণ্টা পানির নিচে আটকা থেকে সুমন ব্যাপারী কিভাবে সাঁতার কেটে উঠলো এবং উদ্ধার হওয়ার ১৫ মিনিট পর তার নাম পরিচয় ও পেশা নিজ মুখে প্রাকাশ করছিলো গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।

কাজি সুমনের ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশের সাজানো নাটক। মিটফোর্ড হাসপাতালে কয়েকজন ডাক্তার তাদের নাম না প্রাশের সর্থে বলেছেন। সুমন যে ১৩ ঘন্টা বুড়িগঙ্গা নদীতে পানির নিচে ছিলো এবং লঞ্চে আটকা পরার কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি যা ডাক্তারি সনদে পিলিবদ্ধ করা আছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 13 =

Back to top button