মশার সংগীতচর্চা শুনতে চাই না, বিরক্ত প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মশার গান আমি শুনতে চাই না। মশা মারতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় তিনি একথা বলেন।
ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও দুই সিটি করপোরেশন মেয়রসহ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাল রাতে যখন ঘুমাতে গেলাম তখন দেখলাম মশারা সংগীত চর্চা করছে। মশার গান শুনলাম। মশা গুনগুন করে কানের কাছে গান গাচ্ছিল। অর্থাৎ মশার প্রাদুর্ভাব কিন্তু আস্তে আস্তে শুরু হবে। তারপর আসবে ডেঙ্গু। তো এই ব্যাপারে কিন্তু এখন থেকে আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এবং এখন থেকে আমাদের প্রত্যেক নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বলব, মশার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে এখন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, আমি মশার গান শুনতে চাইনা। মশা মারতে হবে।
মশার রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই মশারি টাঙিয়ে যেন ঘুমান। কারণ এখন অনেকে মশারি ব্যবহার করেন না। শুধু মশার ওষুধ দেয় বা কয়েল জ্বালায়।’
তিনি বলেন, ‘মশার ওষুধও তো নিশ্বাস-প্রশ্বাসে যায়। সেজন্য প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষার জন্য মশারি ব্যবহার করবেন। করোনার সঙ্গে যদি আবার মশা যোগ হয়, ডেঙ্গু আসে, সেটা কিন্তু আমাদের জন্য আরও মারাত্মক হয়ে যাবে।’
‘মশা বা ডেঙ্গু যেন না আসতে পারে সেজন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দরকার। নিজের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, জলাশয় পরিষ্কার রাখি। মশার প্রজননক্ষেত্র যেন না থাকে, মশা যেন ডিম পাড়ার সুযোগ না পায়, সে দিকটা আমাদের বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে’-বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সকালে গণভবন থেকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার এ ভিডিও কনফারেন্সে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা, সিটি মেয়র, জনপ্রতিনিধি এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ একজন রোগীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ করোনাভাইরাস নিউজ – ভ্রমণ বাংলা নিউজ
Bd News, Bd News,