দেশের বিদ্যুৎ খাতে সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৬০ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবে দেশ। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলছে। এর পেছনে বার্ষিক খরচ হবে এক হাজার কোটি টাকা। তবে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে দেশের ৬ কোটি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করবে।
সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। রেকর্ড পরিমাণ ব্যয়ের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। প্রকল্প ব্যয়ের ৯০ ভাগ প্রদান করবে রাশিয়া। মাত্র ১০ ভাগ প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রূপপুর প্রকল্প দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একটি মাইলফলক। সময়মতো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
প্রকল্পটির কাজ উদ্বোধন থেকেই এ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৩ বছরের কাজ মাত্র এক বছরেই শেষ হয়ে গেছে। এরমধ্যে মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য আবাসন ভবন। ভবনটির নির্মাণ কাজ অকল্পনীয় সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোর ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের ৬ ইউনিটের তিনটি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র একবছরে।
সূত্রমতে, জরিমানা থেকে রক্ষা পাওয়াই ভবনগুলোর দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার অন্যতম কারণ। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে ভবনগুলো নির্মাণ করতে না পারলে ৪০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে।
জানা যায়, ১৯৬১ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে আর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করেন।
আরও জানুনঃ শিল্প ও বাণিজ্য ও দেখে আসুন রূপপুর পারমাণবিক প্লান্ট
ট্যাগঃ Bd news24, News24 Bd