ঢাকার দুই সিটির ৪৫ এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি। ওই এলাকাগুলোর মধ্যে আফতাবনগর, বনশ্রী, বাড্ডা, রামপুরাও রয়েছে। অথচ সেখানেই কি না আসন্ন কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন!
জানা গেছে, আফতাবনগরের মেরাদিয়া মৌজার (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই সেকশন-৩ এর খালি জায়গাটি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। তবে অধিকাংশ এলাকা উত্তর সিটির মধ্যে পড়েছে। পরবর্তীতে দুই সিটি আলাদা হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর ওই এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসিয়ে আসছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডিএনসিসি।
কিন্তু এ বছর করোনায় জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ডিএনসিসি। তবে স্বাস্থ্যঝুঁকি উপেক্ষা করেই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সেখানে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই সিটির এমন বিপরীতমুখী অবস্থান এলাকাবাসীকে বিস্মিত করেছে। পাশাপাশি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
হাট না বসানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত ৫ জুন এক ভিডিও বার্তায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে না। এখানে হাট ইজারা দিলে কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হতো। কিন্তু টাকার চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি।
অন্যদিকে, আফতাবনগরের (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক ই, এফ, জি, এইচ এবং সেকশন-১ ও ২ এর খালি জায়গায় হাট বসানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় উত্তর সিটি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেও দক্ষিণ সিটি কেন সেখানে হাট বসাচ্ছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, এটা তার সিদ্ধান্ত নয়। কোথায় হাট বসানো হবে, কোথায় বসানো হবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাই এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ খোলা জানালা – ইতিহাসের ডায়েরী
Breaking Bd, Breaking Bd, Breaking Bd