বছর শেষেই আসছে দেশে উৎপাদিত করোনা ভ্যাক্সিন ব্যানকোভিড
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ যেন কমছেই না, এরই মধ্যে এই প্রানঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাবিশ্বে মারা গেছেন দশ লক্ষাধিক মানুষ। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।
এতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। গত জুলাই মাসেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফলতার দাবি করেছিল বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
সব ঠিকঠাক থাকলে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ এর তত্বাবধানে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারিতে আসবে গ্লোব বায়োটেকের ভ্যাকসিন।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে বাঁচতে বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য এখন প্রতিষেধক টিকা তৈরি করা। এর মধ্যে ভারত তিনটি প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছে। দুটি তাদের নিজেদের তৈরি এবং আরেকটি ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের পেটেন্ট নিয়ে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে এবং এই ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা সফরে এসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, তার দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি হলে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে।
ভারত তাদের উৎপাদিত টিকা বাংলাদেশকে দেবে কি না সেটা দেশটির নিজস্ব সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
কিন্তু ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাংলাদেশ কোন্ উপায় পাবে সেটা ভারতের সাথে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের চুক্তির ওপর নির্ভর করবে বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ করোনাভাইরাস আপডেট – ইতিহাসের ডায়েরী
Coronavirus Vaccine, Coronavirus Vaccine