দেশে করোনা ধ্বংসকারী ‘নাকের স্প্রে’ উদ্ভাবনের দাবি
করোনাভাইরাস ধ্বংসকারী ‘নাজাল স্প্রে’ উদ্ভাবনের দাবি করেছে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম)। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, বিশ্বে এটাই প্রথম এ ধরনের স্প্রে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে’।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন এই স্প্রের কথা জানায় বিআরআইসিএম।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য হাবিবে মিল্লাত গণমাধ্যমকে বলেন, বিস্তৃত পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো এবং বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমোদন নেওয়ার জন্য বলেছে।
বিআরআইসিএমের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মালা খান জানান, তারা ২০০ জনের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছেন। তাতে ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। আরও বেশিসংখ্যক মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাতে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে আবেদন করবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
“আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, তা হল, এই ভাইরাসটা আক্রমণ করে মুখ, চোখ ও নাকের মাধ্যমে। সেখানে ভাইরাস কিছুকাল অবস্থান করে। আমরা যে সলিউশন তৈরি করেছি, সেটা যদি কেউ ৩-৪ ঘণ্টা পর পর স্প্রে করে, তাহলে নাক, নাসিকারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে (ওরোফেরিংস) অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে।”
মালা খান বলেন, “এতে দুটো সুবিধা হবে। এক, কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি যান এবং সংক্রমণ ঘটে, তাহলে এই স্প্রে ভাইরাস ধ্বংস করবে। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ব্যবহার করেন, তার ভাইরাল লোড (ভাইরাসের পরিমাণ) কমে যাবে।”
গত মে মাসে ঢাকা মেডিকেলে ২০০ কোভিড-১৯ রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে আমরা খুবই প্রমিজিং রেজাল্ট পেয়েছি। এখন আমরা বিএমআরসিতে আবেদন করব। এটাকে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়ার জন্য যে প্রক্রিয়া আছে, সেটার জন্য কাজ করব।”
এই সলিউশন তৈরিতে কী ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে খরচ কেমন হতে পারে বা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কি না- এসব প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর বিআরআইসিএমের কাছ থেকে মেলেনি।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ প্রবাস সংবাদ – ঘরে বসে নিন ত্বকের যত্ন
Covid Nose Spray, Covid Nose Spray