আন্তর্জাতিককরোনাভাইরাস

মানুষ কমানোর জন্য করোনা সৃষ্টি করেছে মানুষ!

করোনাভাইরাস ভয়ংকর, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৩ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে, প্রায় সাড়ে ৭১ হাজার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। কিন্তু করোনাভাইরাস যে প্রাকৃতিকভাবেই এসেছে, এ নিয়ে সম্ভবত এখনো সবাই নিঃসংশয় নন। চীন বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোকে শায়েস্তা করতেই এই ভাইরাস… এখনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও এমন অনেক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবিষ্কার হয়ে গেছে এরই মধ্যে।

ষড়যন্ত্রতত্ত্বের সত্যি-মিথ্যা তো আর জানার উপায় নেই, তবে এমনই এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস ব্রিটিশ বক্সার আমির খানের। ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকে রূপাজয়ী এই বক্সার ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে বলেছেন, করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি। তাঁর বিশ্বাস, করোনাভাইরাস কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা করা হচ্ছে বিশ্বের জনসংখ্যার একটা অংশ কমিয়ে ফেলার জন্য।

‘আমি মনে করি না এটা চীন থেকে এসেছে। এটা মিথ্যা কথা। সত্যিই এমন মনে হয় আমার’—ইনস্টাগ্রাম লাইভে বলেছেন আমির। কেন মনে হয়, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘মানুষ বলে ওরা বাদুড় খেয়েছে, সাপ খেয়েছে, আর ওই (প্রাণীগুলোর) বিষ মিশে গেছে। এটা কোন ধরণের আজগুবি কথা? করোনাভাইরাস এটা, করোনাভাইরাস ওটা…এসব শুনতে শুনতে আপনারা হয়তো বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন। যেমনটা আমি হচ্ছি।’

যদি প্রকৃতিসৃষ্টই না হয়, তাহলে করোনাভাইরাস কীভাবে এল? কেনই বা এল? সে ব্যাখ্যায় আমির টেনে নিয়ে এসেছেন পঞ্চম প্রজন্মের ও দ্রুততর মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য স্থাপিত হতে থাকা ফাইভ-জি সেল টাওয়ারের প্রসঙ্গ। আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ অনেক সুবিধা নিয়ে এলেও ফাইভ-জি টাওয়ার নিয়ে আগেই থেকেই একটা বিতর্ক ছিল যে, এটি থেকে নিঃসৃত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মানুষ ও প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গেও ফাইভ-জি সেল টাওয়ারকে জড়িয়ে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়েছে গত কিছুদিনে। এই তত্ত্বগুলোর দাবি, চীনের উহানে গত বছর ফাইভ-জি টাওয়ার বসানোর কারণেই সেখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক অ্যামান্ডা হোল্ডেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেতা উডি হ্যারেলসনসহ অনেক তারকাও এই ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের পক্ষে কথা বলায় তত্ত্বটি বাজার পেয়েছে বেশি।

যদিও ফাইভ-জি টাওয়ারের সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক এখনো পাওয়া যায়নি। ব্রিটেনের ফ্যাক্ট-চেকিং (সঠিক তথ্য অনুসন্ধান) দাতব্য প্রতিষ্ঠান ফুল ফ্যাক্ট বলছে, ইরানের মতো বিশ্বের অনেক অঞ্চল যেখানে ফাইভ-জি টাওয়ার নেই, সেখানেও করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস তাতেও যদি কমে! এনবিসি নিউজের খবর, গত কিছুদিনে ব্রিটেনে অনেক ফাইভ-জি টাওয়ার পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এ টাওয়ার স্থাপনের কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলীদেরও হেনস্তা হতে হয়েছে।

আমিরের দাবি, করোনাসৃষ্ট এই মহামারীকে আসলে ফাইভ-জি টাওয়ারের বিতর্ক থেকে চোখ সরানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘আপনাদের মনে হয় না, যে ফাইভ-জি টাওয়ারগুলো স্থাপিত হচ্ছে, সেটির সঙ্গে এর (করোনাভাইরাস) কোনো সম্পর্ক আছে?’—লাইভে বলেছেন আমির। এরপরই তাঁর দাবি, ‘এটি (করোনাভাইরাস) মানুষের তৈরি। ফাইভ-জি নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময়ে এটি আসার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে। হয়তো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আনা হয়েছে এটিকে (করোনাভাইরাস), আমাদের সরিয়ে ফেলতে আনা হয়েছে। বিশেষ করে ওরাই যখন বলছে ভাইরাসটি বৃদ্ধদের জন্য বেশি ক্ষতিকর।’ সূত্র প্রথম আলো 

 

আরও খবর পেতে দেখুনঃ বিচিত্র বাংলা নিউজ আন্তর্জাতিক সংবাদ

Daily Bangladesh, Daily Bangladesh

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 10 =

Back to top button