ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবে ঘাটি করবে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি আরবে নতুন ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ডিফেন্স ওয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোহিত সাগরের একটি বন্দর এবং দুটি বিমানঘাঁটিতে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যেই সৌদির সঙ্গে প্রাথমিক একটি চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) কর্মকর্তারা ওই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে এটাকে ‘কন্টিজেন্সি’ পরিকল্পনা বলে উল্লেখ করেছেন তারা। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যেই ইয়ানবু বন্দরটি পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছে। এই বন্দরটি পবিত্র মদিনা নগরী থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা তাবুকে কিং ফয়সাল বিমানঘাঁটি সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখছে। এই ঘাঁটিটি জর্ডানের সঙ্গে সৌদি সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। আরেকটি হচ্ছে তায়েফে কিং ফাহাদ বিমানঘাঁটি। এটি মক্কা থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।
জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে কোনও সংঘাত শুরু হলে নতুন এই তিন লোকেশন থেকে সৈন্যদের সহজে আনা-নেয়া করা যাবে। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে কোনও সশস্ত্র সংঘাত হলে যেকোনো পরিস্থিতিতে আরব উপসাগর প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠবে। তাই কোন জায়গা থেকে সেনাদের মোতায়েন করা যায় সেটাই আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।
জেনারেল ম্যাকেঞ্জি আরও বলেন, এর ফলে আমাদের হাতে অনেকগুলো অপশন থাকবে। আর একজন কমান্ডারের কাছে অপশন থাকা সবসময়ই ভালো একটি বিষয়। এদিকে সৌদি কর্মকর্তা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, রিয়াদের দক্ষিণপূর্বে প্রিন্স সুলতান বিমানঘাঁটিতে প্রায় ২৫০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত রাখতে কাতারে সেন্টকমের সদরদপ্তর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য স্থানে সামরিক উপস্থিতি রয়েছে দেশটির।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ কর্পোরেট সংবাদ – আন্তর্জাতিক সংবাদ
Daily Iran News, Daily Iran News