Lead Newsতথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইনে মিটিং করতেই ৫৭ লাখ টাকা! রিপোর্ট চাইলেন মন্ত্রী

করোনাকালে অনলাইনে মিটিং (জুম মিটিং) করে ৫৭ লাখ টাকা বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এর বিরুদ্ধে। আর বাইরের একটি প্রতিষ্ঠান এই জুম মিটিংয়ের আয়োজন করায় নিয়েছে প্রায় ১১ লাখ টাকা।

পাশাপাশি মিটিংয়ের খাবার বিল দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এছাড়া কলম, ফোল্ডার, প্যাড, ব্যাগ ইত্যাদি খরচ দেখিয়েও বিল করা হয়েছে।

গত শনিবার দেশের একটি ইংরেজি দৈনিক এসব তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আজ সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের। মন্ত্রীর দাবি, এসব তথ্য সঠিক নয়।

সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি এর মধ্যে আইএমইডি সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, করোনা শুরু হওয়ার আগের মিটিংয়ের জন্য তারা এই বিল পরিশোধ করেছেন। মানে, যখন মানুষ মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে মিটিং করতো, সেটা বিবেচনায় পেমেন্ট করেছে।

করোনা শুরু হওয়ার পরে দু-একটা মিটিং করেছে, যারা উপস্থিত ছিল শুধু তাদেরকে পেমেন্ট করেছে। যারা ঘরে থেকে মিটিং করেছে, তাদেরকে বিল দেয় নাই। ওই সময়ের পেমেন্ট করা হয়েছে এবং এগুলোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও আছে। এটা আমাকে সচিব জানিয়েছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, যে কয়েকটা পেমেন্ট হয়েছে, সব করোনার আগে। আর করোনার পরে কিছু পেমেন্ট হয়েছে, সেটার বিস্তারিত রিপোর্ট আমাকে জানাবে। আমি তারপরেও সচিবের কাছ থেকে লিখিত রিপোর্ট চেয়েছি।

উল্লেখ্য, জুম মিটিংয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, জুম মিটিংয়ে ১০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন, এমন প্যাকেজে ১ মাসে খরচ হবে ১৪.৯৯ ডলার। আর ক্ষুদ্র ও মাঝারি মানের ব্যবসা মিটিংয়ের জন্য এক মাসে ১৯.৯৯ ডলার খরচ। তাতে ৩০০ ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এছাড়া আরো বেশ কিছু প্যাকেজ আছে।

আরও খবর পেতে দেখুনঃ ইতিহাসের ডায়েরীপ্রবাস নিউজ

Entertainment Stories, Entertainment Stories, Entertainment Stories

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + 6 =

Back to top button