আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন কথামালার রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। এ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একজন ব্যর্থ রাজনীতিক। তাঁদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। খালেদার মুক্তির জন্য একটি আন্দোলনও তারা করতে পারেনি। দলে ভাঙন ধরেছে। গত ১২ বছর তারা চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিরোধীদল হিসেবে কোনো দায়িত্বই পালন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে সফলতা পায়নি। নির্বাচনেও পরাজিত ও ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন একটি নালিশ নির্ভর দলে পরিণত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইস্যু না পেয়ে তারা এখন ধর্ষণের বিরুদ্ধে কথা বলছে, সরকারের পদত্যাগ চাইছে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর। কারণ সরকার এমনিতেই নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে। এরপর এ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার তো কোনো কারণ দেখছি না। আইনের পাশাপাশি এমন জঘন্য অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কটেরও ডাক দিতে হবে।
‘সারাদেশে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। সারা দেশে ধানের শীষের গণজোয়ারের কথা বলা হলেও তা একটি দিবাস্বপ্ন। আগামী ১ তারিখ বোঝা যাবে, গণজোয়ার ধানের শীষের নাকি নৌকার? নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা (বিএনপি) কারচুপির অভিযোগ করবে। এটি তাদের পুরনো অভ্যাস।’
সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়েছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি না হওয়ার অভিযোগ তো আমার। কারণ, বিএনপির মহাসচিব সুন্দরভাবে তার দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমি সে সুযোগ পাচ্ছি না।
দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও জামিন হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা জামিন আদালতের বিষয়। এখানে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বিচার বিভাগ স্বাধীন। জামিন দিলেও আদালত দেবে, মুক্তি দিলেও আদালত দেবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, এখানে সরকারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয় নয়। একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরোয়ানা জারি করেছেন। পরে আবার তারা আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আদালতের কর্তৃত্ব।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানের দুই লেনের সড়কগুলোর উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও খবর: ছেলে বিএনপি করে শুনলে মেয়েও বিয়ে দিতে চায় না – ভাইরাল
Goodnews, Goodnews, Goodnews
