শুধু ক্যান্সার প্রতিরোধ নয়, চুল সাদা হওয়ার প্রবণতাও কমায় জবা ফুল
Health Tips daily: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য ঠেকিয়ে রেখে মানুষকে চিরযৌবন এনে দিতে পারে এই ফুল। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মূত্রনালীর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর, জ্বর নিয়ন্ত্রণ, চুল পড়া, চুল সাদা হয়ে যাওয়া রোধ করে। শরীরের ব্যথা ৭০ ভাগ পর্যন্ত কমাতে পারে জবা ফুল।
গন্ধহীন ঔষধি গুনাগুণেপূর্ণ জবা বমি, অনিয়মিত মাসিকের স্রাব, চোখ উঠা, মাথায় টাক পোকা, হাতের তালুতে চামড়া উঠা ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। ফেসপ্যাক হিসেবেও কার্যকর এই জবা ফুল। লাল জবার পাপড়ির গুঁড়ো মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে বলিরেখা রোধ করে। শুষ্ক ত্বককে নিরাময় এবং যেকোন ধরনের ফাটাও ভালো করে। খুশকি দূর ও জুতো পলিশের কাজে ব্যবহৃত হয় জবা ফুল।
শিশুদের শ্যাম্পু হিসেবে ও আই শ্যাডো হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লাল জবার পাপড়ি শরীরে লৌহের ঘাটতি কমায় ও সাদা জবার পাপড়ি বিষন্নতা দূর করে। জবা ফুলের রস থেকে তৈরি জবাকুসুম তেলে চুল পড়া বন্ধ এবং চুল কালো হয়।
কবিরাজি মতে জবাফুলের রস সেবনে, স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব দোষ নিরাময় হয়। এর ফুল ভেজে খেলে অনিয়মিত এবং অল্প ঋতু¯্রাবজনীত অসুবিধা দূর হয়। এর কুঁড়ি পুরুষের ধাতুদৌর্বল্য দূর করে। এই ফুলের ক্বাথ শরবতের সঙ্গে পান করলে জ্বর ও কাসির উপশম হয়।
মেয়েদের মাথার চুল সিল্কি করা ছাড়াও অনেক কাজে লাগে জবা ফুল। এর ওষধিগুণ অনেক বেশি এবং সৌন্দর্যবর্ধক। জবা ফুলের কুুড়ির রস জ্বর নাশক। এছাড়া এই ফুল দুধ, চিনি ও জিরার সঙ্গে মিশিয়ে গণোরিয়া চিকিৎসার কাজে লাগানো হয়। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রাস্তার ধারে এটি লাগানো যেতে পারে।
আমরা জার্মপ্লাজম বা মাতৃগাছ সংরক্ষণ করেছি এবং নতুন জাত সংকরায়ণের চেষ্টা করছি বলে জানালেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যান তত্ত গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কবিতা আঞ্জুমান আরা, সূত্র আমাদের অর্থনীতি।
তিনি জানালেন, পাহাড়ি গুল্ম জাতীয় গাছ এটি। এর আদিনিবাস চীন। পুষ্পধারিগাছ অথবা ঝোপ হিসেবে কদর আছে। জবা ফুল ঠোঙ্গা আকৃতি, পঞ্চমুখি ও থোকা এবং সিঙ্গেল ও ডবল আকারের হয়ে থাকে। লাল, নীল, হলুদ, সাদা ও বাই কালারের জবা ফুল দেখা যায়।
দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে আমাদের দেশে ১৪/১৫ রকমের জবা ফুল আছে। সবধরনের মাটিতে হলেও হালকা দোআস মাটিতে জবা ফুলের গাছ ভালো হয়। শাখা ও গুটি কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করা হয়।
চিরযৌবন এনে দিতে সক্ষম হলেও মূলত পূঁজা অর্চনায় ছাড়া ভেষজ ও ওষধিগুণে ভরপুর জবা ফুলের অন্য কোনো ব্যবহার তেমন একটা নেই এদেশে।
অথচ জবাসহ অন্যান্য ফুলের নিবিড় গবেষণা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি হতে পারে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারজানা নাসরিন বলেন, আমাদের এখানে জবা ফুলের বানিজ্যিক চাষ হয়না। তবে বাণিজ্যিক চাষের সুযোগ রয়েছে। দরকার জবা ফুলের বিস্তারিত গবেষণা।
আরও সংবাদঃ দৈনিক খাবার তালিকা, জীবনযাপন
Tag: Health Tips Daily, Daily Health Tips,