ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কফি
দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। শুধু খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে এ রোগটাও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। গবেষণা তাই বলে।
গবেষক বলছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কফি একটি মহৌষধ। কফিতে এমন অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
দিনে যদি তিন কাপ ফিল্টার কফি পান করা যায় তাহলেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
কফি তো বয়েলড বা গরম করেও খাওয়া যায়। তাহলে ফিল্টার কেন? গবেষকরা জানান, বয়েলড কফির চেয়ে ফিল্টার কফির প্রভাব অনেক বেশি। তা শরীরের কাজেও বেশি লাগে।
সুইডেনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন, ফিল্টার কফির প্রভাবে যেভাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস যেভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকে তার ধারে কাছেও থাকে না বয়েলড কফি পান করলে।
তাই যদি কেউ দিনে তিন কাপ ফিল্টার কফির অভ্যাস করতে পারেন তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস তার থেকে দূরে থাকবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে তিন-চার কাপ কফি পানে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ২৯-৫৪ শতাংশ।
সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাটিয়াস কার্লস্ট্রম বলেন, কেবল ক্যাফেইন নয়, হাইড্রোক্সাই সিন্যামিক অ্যাসিডসহ যৌগিক মিশ্রণ বিশেষ করে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, ট্রিগোনলিন, ডিটারপেনি, যেমন ক্যাফেসল, ক্যাভিওল এবং ক্যাফিক অ্যাসিডও বিষয়টির সঙ্গে যুক্ত।
এ ছাড়া ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কফি ফ্যাটি লিভার এবং প্রদাহজনক অ্যাডিপোসাইটোকিনস এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
জার্মানিতে ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব ডায়াবেটিস (ইএএসডি)-এর বার্ষিক সভায় গবেষণার এই ফল উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণায় আরো বলা হয়, কফি শক্তি ও মনোযোগের মাত্রা বৃদ্ধি করে, বিষণ্নতার ঝুঁকি কমায়, একাধিক ধমনীর কাঠিন্য দূর করে, চর্বি দূর করে এবং আলজেইমার ও পার্কিনসনের মতো রোগ প্রতিরোধ করে বলে পূর্ববর্তী গবেষণার ফলে দেখানো হয়।
আরও খবরঃ হেলথ টিপস – কফির পেপার কাপ সম্পর্কে কী জানি
Tag: Health tips, Health tips daily