ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে যুদ্ধের পরিস্থিতি; ইসরাইলে এলো মার্কিন পরমাণুবাহী বোমারু বিমান
গত শুক্রবার ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশনের মহড়ার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।ইরানের মরুভূমিতে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। মহড়ায় অসংখ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। মূহুর্মূহু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে গোটা মরুভূমি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। -পার্সটুডে
এ যেন এক মহাযুদ্ধ। মহড়ায় বহু বোমারু ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোন থেকে নিক্ষিপ্ত বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রে নিমিষেই ধ্বংস হচ্ছিল কল্পিত শত্রুর নানা লক্ষ্যবস্তু। আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ আজকের মহড়া সম্পর্কে বলেছেন, মহড়ার প্রথম পর্বে নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হেনেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে কল্পিত শত্রুর ডামি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করা হয়।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইরান দাবি করেছে, শনিবার দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই মরুভূমি থেকে ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে কল্পিত শত্রুর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এগুলোর আঘাতে সাগরে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
বিপ্লবী বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা নীতি হচ্ছে, শত্রুর বিমানবাহী রণতরী ও যুদ্ধজাহাজের বিরুদ্ধে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার।’সালামি বলেন, ‘আমরা এখন সাগরে চলমান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।’
মহড়ার প্রথম দিনে নতুন প্রজন্মের অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে গোটা মরুভূমি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মহাযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহড়ায় বহু বোমারু ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম দুটি মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান পারস্য উপসাগরের ওপর দিয়ে উড়ে এলো ইহুদিবাদী দেশ ইসরাইলে।
সম্প্রতি সময়ে পঞ্চমবারের মতো মার্কিন এ বোমারু বিমান পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় মহড়া দিল। খবর আনাদোলুর।
ইসরাইলি দৈনিক ইয়েদিঅথের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, মার্কিন দুটি বি-৫২ বোমারু বিমান রোববার ইসরাইলের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
মূলত ইরানকে উসকানি দিতেই ঘনঘন পারস্য উপসাগরীয় এলাকায় মহড়া দিচ্ছে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার শেষ সময় এসে মধ্যপাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি সৌদি আরবের রাজকীয় বিমানবহর এবং মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের সঙ্গে চতুর্থবারের মতো ওই দুটি বি-৫২ বোমারু বিমান ইসরাইল এসেছিল।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ খোলা জানালার সংবাদ – কর্পোরেট সংবাদ
Iran News Daily, Iran News Daily