প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’ চালুর ফলে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই উপমহাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানটা এতটাই চমৎকার যে, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে কোনো একটা জায়গায় যদি ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়, তাহলে সবদিক থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পরিবেশবান্ধব ড্যাশ এইট উড়োজাহাজ ‘ধ্রুবতারা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ রোববার সকালে ধ্রুবতারাসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নতুন উড়োজাহাজের বাণিজ্যিক যাত্রার উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে উদ্বোধনের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, খুব খারাপ লাগছে যে, যেতে পারছি না, দেখতে পারছি না। করোনা মহামারির কারণে প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত থাকতে না পারায় ভার্চুয়ালি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবচেয়ে আধুনিক ও উন্নতমানের জিনিসটাই নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো- এতগুলো বিমান কিনে যখন আমাদের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল ও দেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ করার কথা, তখন কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুরবস্থা ছিল। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নত করেছি আমরা। সেইসঙ্গে সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করি। আমরা উদ্যোগ নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের আমূল পরিবর্তন করি। তখন বোর্ডিং ব্রিজ বা কিছুই ছিল না। সবকিছু্ই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা। সেটাকে এখন আমরা আরো উন্নত করছি। থার্ড টার্মিনালও নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে উন্নত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে সৈয়দপুর, সিলেট ও রাজশাহীসহ অন্যান্য বিমানবন্দরকে উন্নত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বিমান কেনা ও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা করেছি, তা উলটপালট করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। অবশ্য শুধু বাংলাদেশই না করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে গেছে।
জানা যায়, ড্যাশ ৮-৪০০ মডেলের এই উড়োজাহাজ নির্মাণ করেছে কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড। অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন উড়োজাহাজটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৪ জন। এতে পা রাখার জন্য বেশি জায়গা দেওয়া আছে। ফলে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারবেন। এ ছাড়া উড়োজাহাজটির জানালাগুলো খুবই প্রশস্ত ও ভেতরে এলইডি লাইটিং করা আছে। যার ফলে যাত্রীরা আনন্দের সঙ্গে তাদের ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।
পরিবেশবান্ধব এই উড়োজাহাজে রয়েছে অত্যাধুনিক হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি। যার দ্বারা মাত্র চার মিনিটেই উড়োজাহাজের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবাহ নিশ্চিত করা যায়।
আরও খবর পেতে দেখুনঃ সর্বশেষ করোনা আপডেট – মজাদার সব রান্নার টিপস
Latest Breaking 24, Latest Breaking 24