পুরুষের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে ৫টি জরুরি পরামর্শ
বর্তমানে চূড়ান্ত ব্যস্ত জীবনযাত্রায়, অনিয়মিত ডায়েট এবং স্ট্রেসের কারণে বন্ধ্যাত্ব একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইদানীং পুরুষের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে হলে স্বাভাবিক ওজন এবং নীরোগ শরীর থাকাটা আবশ্যিক। অতিরিক্ত বেশি বা অস্বাভাবিক কম ওজন সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখতে ডায়েট মেনে পুষ্টিকর খাবার খান।
বন্ধ্যত্ব বর্তমানের এক প্রচলিত সমস্যা। ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি বন্ধ্যত্বের কারণ।
গবেষণায় বলা হয়, কেবল নারী নয়, ৩০ থেকে ৫০ ভাগ পুরুষও বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। পুরুষের বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট নিউজ মেডিকেল।
ওজনের ভারসাম্য রাখা
অতিরিক্ত ওজন শুক্রাণু তৈরিতে সমস্যা করে। বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে তাই ভারসাম্যপূর্ণ ওজন রাখা জরুরি।
মদপান-ধূমপানের আসক্তি এড়িয়ে চলা
মদপান বা ধূমপান দেহের জৈবিক ক্রিয়াকলাপকে বাধা দেয়। এগুলো আসক্তির পর্যায়ে চলে গেলে বন্ধ্যত্বের সমস্যা হতে পারে।
মোবাইল ও ল্যাপটপের রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকা
ইলেকট্রনিক গেজেট থেকে কম মাত্রার রেডিয়েশন হয়। এটি শুক্রাণু উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্যান্টের পকেটে মোবাইল না রেখে শার্টের পকেটে রাখুন।
পুষ্টিকর খাবার খান
পুষ্টির ঘাটতি, বিশেষ করে জিঙ্ক ও ভিটামিনের ঘাটতি হলে শুক্রাণু তৈরিতে অসুবিধা হয়। স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট মেনে চলুন। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
ব্যায়াম করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
সংক্রমণ ও প্রদাহ ভালো শুক্রাণু তৈরিতে বাধা দেয়। ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। বন্ধ্যত্ব প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
আরও সংবাদঃ স্বাস্থ্য টিপস ও ব্যায়াম ছাড়াই সুস্থ থাকবেন যেভাবে
Tag: Latest health tips today, Today latest health tips