করোনাভাইরাসবিবিধ

‘আমরা সাহায্য চাইলে মেম্বাররা ট্যাহা চায়’

‘আমরা সাহায্য চাইলে মেম্বাররা ট্যাহা চায়। আমরা ট্যাহা দিতে পারি না। এর লাইগা আমগরে কিছুই দেয় না।’ কথাগুলো বলছিলেন, শেরপুরের শ্রীবরদীর ধাতুয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী কালাম মিয়া।

ভুক্তভোগীরা জানায়, শুধু কালাম মিয়া নয়, তার মতো আরো অনেকের একই রকম অভিযোগ। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা বন্টন নিয়ে উপজেলায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দরিদ্র অসহায় পরিবারের অনেকে ত্রাণ সহায়তা চেয়েও পাচ্ছেন না।

অভিযোগ উঠেছে, তালিকায় নাম তুলতে টাকা দাবি করছেন স্থানীয় ইউপির মেম্বাররা। সেক্ষেত্রে নিরপেক্ষভাবে তালিকা যাচাইয়ের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও গৃহবন্দী হতদরিদ্রদের মাঝে বরাদ্দকৃত চাল ও অর্থ বিতরণ করা হচ্ছে। তিন দফায় উপজেলার ১০টি ইউপি ও একটি পৌরসভার জন্যে ৩৯ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে উপজেলার গোসাইপুর ইউপির ধাতুয়া গ্রামে গেলে বৃদ্ধা বাসরী বেগম বলেন, ‌‌‌‘আমগরে কিছুই নাই। আমি মানষের বাইত চাইয়া খাই। অহন দেশে কি আইলো। মানষের বাইততো যাওন যায়না। না খাইয়া কয়দিন থাহুম?’ তিনি সরকারি সহায়তা পাননি বলে জানান।

স্বামী অসুস্থ, প্রতিবন্ধী ও দিনমজুর দুই ছেলে থাকেন আলাদা। এ অবস্থায় তিনি পড়েছেন চরম বিপাকে। একই গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব অন্ধ আবু বক্কর আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি ছোড পোলাডারে লইয়া ভিক্ষা করি। সরকার আমগোর লাইগা সাহায্য দিছে। আমরা পাইনা। মেম্বাররে কত কইলাম। কিছুই দিলোনা।’

গোসাইপুর ইউপির সচিব সাইদুর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সহায়তা হিসেবে এই ইউপিতে ৩৫০ জনকে ১০ কেজি চালের সঙ্গে ডাল, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলু ও সরিষার তেল দেয়া হয়েছে।

অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়েল আহমেদ বলেন, সবচেয়ে গরিব লোকদের মাঝে এসব সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বণ্টনে স্বচ্ছতার জন্য তদারকি করছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।

খাদ্যসামগ্রী বণ্টনের বিষয়ে প্রতিদিন মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ইউএনও নিলুফা আক্তার। সূত্র ডেইলি বাংলাদেশ

 

আরও খবর পেতে দেখুনঃ কোবিড ১৯ নিউজ আপডেটবিচিত্র নিউজ 

News Bd Update, News Bd Update

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 13 =

Back to top button