বাংলাদেশে করোনার সার্টিফিকেট নিয়ে জালিয়াতির খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশিদের থেকে দূরে দূরে থাকছেন ইতালিয়ানরা। মঙ্গলবার দেশটির প্রথমশ্রেণির গণমাধ্যম ‘ইল মেসাজ্জেরো’তে এমন খবর প্রকাশের পর থেকেই বাংলাদেশিদের থেকে দূরে থাকাতে দেখা যায় ইতালিয়ান নাগরিকদের। এতে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এবিষয়ে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক শিমুল রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে করোনা সার্টিফিকেট বাণিজ্যের খবর ইতালি পত্রিকার শিরোনাম হওয়ার পর এখানে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। কোনো বাংলাদেশি রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে অন্য দেশের নাগরিকেরা। এছাড়াও কোনো বাঙ্গালি রেস্টুরেন্টে গেলে তাকে এড়িয়ে চলছে অন্যরা’।
এছাড়াও দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পরে যারা বিভিন্ন ফ্লাইটে ইতালিতে এসেছেন তাদের অনেককেই কর্মস্থলে যোগদান করতে দিচ্ছেনা মালিকেরা।
কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে ইতালিতে গিয়ে বিমানবন্দরে নামতে না পারা ১৫১ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের কিউআর-৬৩৮ ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ফ্লাইটটি কাতারের দোহা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।
এবিষয়ে রোম প্রবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক বারকর্মী বলেন, ‘আমি জুন মাসে বাংলাদেশ থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে ইতালি আসি। পরে এখানকার আইনানুযায়ী দুই সপ্তাহ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর কাজে যোগদান করি। কিন্তু মালিক বাংলাদেশের করোনা সার্টিফিকেটের বাণিজ্যের খবর শুনে আমাকে কাজে আসতে বারণ করে বলেন, ইতালি থেকে করোনা পরীক্ষা করে সেই রিপোর্ট নিয়ে আসলে কাজে যোগদান করা যাবে’।
এছাড়াও রোমে বসবাসকারী ইতালিয়ান নাগরিক মানবাধিকার কর্মী আন্তনেল্লা দি পাওলা মুঠোফোনে বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ইতালিয়ানরা করোনার কারণে প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে এখানকার অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলেও বাংলাদেশের অবস্থা অনেক খারাপ। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ থেকে আসা অনেকেই করোনায় আক্রান্ত বলে আমরা পড়েছি। তাই অনেকেই ভয়ে বাংলাদেশিদের এড়িয়ে চলছে’।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
আরও সংবাদ দেখুনঃ আন্তর্জাতিক সংবাদ – ইতিহাসের ডায়েরী
Online News, Online News