Lead Newsজাতীয়

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল

বেকারত্ব, বিদ্যুৎ সংকট, দূর্নীতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ তো বহু দূরের কথা। শুধু তত্কালীন সরকারি দলের নেতাকর্মী তথা শাসকগোষ্ঠীর যেন ভাগ্য বদল। দুর্নীতির সূচকে বিশ্বে টানা একাধিকবার শীর্ষে বাংলাদেশ। দেশের এমন বাজে অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালের শেষে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশ পরিচালনায় জনগণের ম্যান্ডেট পায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সমস্যা জর্জরিত দেশের হাল ধরেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। অভাব, বেকারত্ব, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে নামেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে দেশ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন ঠিক তেমনিভাবে কাজ শুরু করেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও উন্নত বিশ্বের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বাস্তব রূপ দেয়া এক সাহসী নেত্রীর ভূমিকায়ও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য অপরাধীদের বিচার করে বিশ্ব অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

সেই ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আকাশচুম্বি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আর অগ্রগতির নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে সাফল্যের এক যুগ পূর্ণ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকরণীয় নেতৃত্বে খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তি চুক্তি, সমুদ্র বিজয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান, মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নসহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে রয়েছে এশিয়ার অনেক দেশের চেয়েও।

গ্রামীণ অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নানামুখী সেবা পৌঁছে গেছে মানুষের দোরগোড়ায়। বাস্তবায়ন হচ্ছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রসহ বড় বড় মেগাপ্রকল্প। বঙ্গবন্ধুকন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে গঠিত হচ্ছে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের এক যুগের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নযাত্রা দেখছে ক্ষমতাসীন দলটি।

২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নবম জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে সরকার। এরপর ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ সালে জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাষ্ট্রক্ষমতায় টানা ১২ বছর পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৮ সালের শেষে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনবদলের সনদ’ নামে নির্বাচনি ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির ইশতেহারের স্লোগান ছিল ‘শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। এর আগে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ‘দিনবদলের সনদ’ শিরোনামে দলের নির্বাচনি ইশতেহার তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ওই ইশতেহারে ‘রূপকল্প ২০২১’ শিরোনামে বাংলাদেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যে এটা বাস্তবায়নই ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। ২০১৮ সালে একাদশ নির্বাচনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত বিষয়গুলোর অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি ২১০০ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে ১০০ বছর মেয়াদি ‘ডেল্টা প্ল্যান’।

২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এরপর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল, আইনজীবী প্যানেল এবং তদন্ত সংস্থা গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

গত ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১২ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বা যুদ্ধাপরাধের বিচারের মতোই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছিটমহল সমস্যার সমাধান, সমুদ্র সীমানার বিরোধের নিষ্পত্তি করে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতের এক রায়ে বাংলাদেশ নতুন প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পায়। এটা ছিল শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার ফসল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উত্পাদন সক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকারের এক যুগে ২০২০ সালে বিদ্যুত্ উত্পাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৭৭৭ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে আরো নতুন বিদ্যুেকন্দ্র হয় ২৭টি। বর্তমানে ২০২০ সালে এর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় মোট ১৪০টিতে। ২০২০ সালে মাথাপিছু বিদ্যুত্ উত্পাদন দাঁড়ায় ৫১২ কিলোওয়াট/ঘণ্টা। ২০০৬ সালে বিদ্যুত্ আওতাধীন জনগোষ্ঠী ছিল ৩৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ শতাংশে। বর্তমান তা হয়েছে ৯৯ শতাংশ।

বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় ২০০৬ সালে অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণকালে ২০০৯ সালে তা ছিল ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৮ সালে কমে তা ১১ দশমিক ৩ শতাংশে আসে। বর্তমান ২০২০ সালের তথ্য চিত্র অনুযায়ী অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০০৯ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল ৯৬ দশমিক ১ কোটি ডলার। এখন বৈদেশিক বিনিয়োগ ৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ৪২ দশমিক ০৯ ডলার। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। ২০০৯ সালে খাদ্য উত্পাদন ছিল ৩৭৪ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৮ সালে ৪০০ লাখ মেট্রিক টন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই পদ্মা সেতু নির্মাণকে অগ্রাধিকার মেগা প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করে শেখ হাসিনা সরকার। নানা ষড়যন্ত্র ও দেশ-বিদেশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ এখন শেষের পথে। গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর ৪১তম স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। চলছে রেল সংযোগের কাজও।

গত ১২ মার্চ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুেকন্দ্রের ৩১ শতাংশের বেশি ভৌতকাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু করার নতুন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে কাজ। এমআরটি-৬ নামের এ প্রকল্পে উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত ২০২১ সাল এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়ে ১০ বছর ধরে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সরকার। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উত্সব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এবারের বই বিতরণ শেষ হলে সর্বমোট ৪০১ কোটি ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৮টি বই বিতরণ করা হবে।

২০১৩-১৪ আগুন পোড়ার রাজনীতি দমনে সরকার: বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলীয় জোটের ডাকে কথিত অবরোধ ও হরতালের সারা দেশে শতাধিক সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়। শত শত দগ্ধ মানুষের চিত্কার ও তাদের স্বজনদের আহাজারিতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের পরিবেশ শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোল বোমা হামলাকারী ও নাশকতাকারীদের আইনি প্রক্রিয়া মোকাবিলা করা হয়েছে।

মুজিববর্ষ ও করোনা সংকট: এক যুগ ধরে রাষ্ট্রক্ষমতায় বর্তমান সরকারের সবচে বড় চ্যালেঞ্জের বছর ছিল বিদায়ী ২০২০ সাল। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে দেশব্যাপী উত্সবমুখর কর্মসূচি নেয়া হলেও বৈশ্বিক মহামারী করোনা সবকিছু থমকে দেয়, বড় ধরনের ধাক্কায় পড়ে সরকার। উত্সবের বছর পরিণত হয় আতঙ্ক আর হতাশায়। ২০২০ সালের শুরুতেই সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশে যখন করোনাসংকটে নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তখন তা মোকাবিলায় দ্রুত নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উপহার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪ হাজার বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে মুক্তিযোদ্ধাদের। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এসব বাড়ি হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে সরকারের দেয়া সহায়তা সরাসরি পেয়েছে অন্তত ৭ কোটি মানুষ। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

রোহিঙ্গা সংকট: মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট যেসব রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তে ভিড় করেছিল, মানবিক কারণে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারণে বিশ্বমানবতার বিবেক হিসেবে প্রশংসা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আধুনিক সুবিধাসম্বলিত একটি শহর গড়ে তোলা হয়েছে ভাসানচরে। শরণার্থীদের সহায়তায় বিশ্বের বুকে এটি অনন্য দৃষ্টান্ত। ভাসানচরে আধুনিক সুযোগসম্বলিত আবাসনব্যবস্থার পাশাপাশি সাইক্লোন সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার, মসজিদ, পুলিশ স্টেশন এবং ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত্ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

আগামী উন্নয়ন: আগামী দিনে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে সিঙ্গাপুরের আদলে শিল্পনগরী গড়ে তোলা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পকে গ্রামভিত্তিক ক্ষদ্র ও মাঝারি গুচ্ছশিল্প কাঠামোয় সংযুক্ত করা, ঢাকা ঘিরে এলিভেটেড রিংরোড এবং ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং এক্সপ্রেসওয়ে রেললাইন নির্মাণ করা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, খুলনা এবং কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন সার্ভিস, ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ, নতুন রাডার স্থাপন ও জেট ফুয়েল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা, বাগেরহাটে খান জাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করা, কক্সবাজারে সুপিরিয়র বিমান অবতরণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা, ঢাকায় পাতাল রেল, মেট্রোরেল, সার্কুলার রেলপথ গড়ে তোলাসহ সরকারের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার যত পুরস্কার: বাংলাদেশকে ঈর্ষান্বিত সাফল্য এনে দেয়ায় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা কুড়িয়েছেন বেশকিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে শিক্ষা খাতের উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ সম্মাননা, ২০১৫ সালে দারিদ্র্যবিমোচনে ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড’, পরিবেশ রক্ষা জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার, আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য ‘আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড’, ২০১৬ সালে জাতিসংঘের ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’, ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার, ২০১৮ সালে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘গ্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড এবং মানবতায় দৃষ্টান্ত দেখিয়ে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ খেতাবে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও খবর পেতে দেখুনঃ কর্পোরেট সংবাদআন্তর্জাতিক সংবাদ

Positive Bangladesh, Positive Bangladesh

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 4 =

Back to top button