কমপক্ষে এক লাখ কোটি গাছ লাগালে বাতাসে কমবে বিষ। আমাদের বায়ুমণ্ডল হয়ে উঠবে ১০০ বছর আগের মতো। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে সুইস ফেডারাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (ইটিএইচ জুরিখ) হালের একটি গবেষণা এ তথ্য জানিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ।
এতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র গাছ লাগালেই জীবন বাঁচবে। আর বিশ্বজোড়া শিল্পায়নের দৌলতে বাতাস ভয়ঙ্করভাবে বিষিয়ে উঠছে কার্বনমনোক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, সালফার ডাই-অক্সাইড-সহ নানা ধরনের গ্রিন হাউস গ্যাসে। যা তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর।
এক লাখ কোটি গাছ লাগাতে জমির অভাব হবে না বলে জানানো হয়েছে গবেষণায়। গবেষণা হিসাব কষে দেখানো হয়েছে, যদি আমার, আপনার সদিচ্ছা আর আন্তরিকতা থাকে দ্রুত এক লাখ কোটি গাছ বসিয়ে ফেলার, তা হলে, অন্তত জায়গার অভাবে সেই সব গাছের বেড়ে উঠতে ও বেঁচে থাকতে কোনও অসুবিধা হবে না।
পৃথিবীর স্থলভাগের যতটা নিয়েছে শহর আর গ্রাম, চাষাবাদের জন্য সেই জমিতে যতটা ভাগ বসানো হয়েছে, তাকে হিসাবের বাইরে রেখেও গবেষকরা দেখিয়েছেন, গাছ বসানোর জন্য ৩৫ লাখ বর্গ মাইল ।
তা না হলে যে হারে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে ফুলে-ফেঁপে ওঠা সমুদ্রের জলেই তলিয়ে যেতে হবে আমাদের। কারণ, উষ্ণায়নের জেরে বরফ গলছে অস্বাভাবিক দ্রুত হারে
গবেষণা এও জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণে কার্বন জমা হয়েছে, এক লাখ কোটি গাছ খুব তড়িঘড়ি বসিয়ে ফেলা সম্ভব হলে তার ২৫ শতাংশই বায়ুমণ্ডল থেকে সরে যাবে।
পৃথিবীর স্থলভাগের যতটা নিয়েছে শহর আর গ্রাম, চাষাবাদের জন্য সেই জমিতে যতটা ভাগ বসানো হয়েছে, তাকে হিসাবের বাইরে রেখেও গবেষকরা দেখিয়েছেন, গাছ বসানোর জন্য ৩৫ লাখ বর্গ মাইল বা ৯০ লাখ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পড়ে রয়েছে পৃথিবীতে। জায়গাটা মোটেই কমনয় কিন্তু।
গবেষণা এও জানিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণে কার্বন জমা হয়েছে, এক লাখ কোটি গাছ খুব তড়িঘড়ি বসিয়ে ফেলা সম্ভব হলে তার ২৫ শতাংশই বায়ুমণ্ডল থেকে সরে যাবে। বায়ুমণ্ডল হয়ে যাবে ১০০ বছর আগেকার মতো।
আরও খবর পেতে এখানেঃ খোলা জানালা – লাইফস্টাইল
Positive News Info, Positive News Info, Positive News Info