Lead Newsদেশবাংলা

ধর্ষণবিরোধী লংমার্চে হামলা; আহত অনেকেই হাসপাতালে

ফেনীতে হামলার শিকার হয়েছেন ধর্ষণের বিরুদ্ধে নয় দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাওয়া লংমার্চকারীরা ।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফেনী শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মোড় এলাকায় লাঠিসোঁটা ও ইট নিয়ে একদল যুবক এই হামলা চালায় বলে জানায় লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা ।

হামলাকারীরা লংমার্চকারীদের ছয়টি বাস ভাংচুর করেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে লংমার্চকারীদের অভিযোগ। তারা আরও বলছেন, হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলেও অভিযোগ লংমার্চকারীদের ।

হামলার পর লংমার্চকারীরা নোয়াখালীর পথে রওনা হয়েছেন, যেখানে বিকালে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুদিনের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা।

ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। বাম ছাত্র সংগঠনগুলো ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নারী সংগঠন এতে যোগ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এখনো আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। এখানকার স্থানীয় নেতাদেরকে পুলিশ শাসিয়ে গেছে। সামনে হাসপাতালে যে নামবো সেখানে হামলা হবে না এমন নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। কারণ পুলিশও আমাদের আটকানোর চেষ্টা করছে। তারা আমাদের ঘেরাও দেয়া অবস্থাতেই এ হামলা হয়। রাস্তায় দুইবার তারা আটকানোর চেষ্টা করেছে।’

পরবর্তীতে পুলিশ ও ডিবির পাহাড়ায় আন্দোলনকারীদের ৭টি বাস নোয়াখালির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়। তবে পুলিশের এ পাহাড়া নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করছে আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ইবনে সানী দেওয়ান বলেন, বর্তমানে আমরা পুলিশ প্রটেকশনে গন্তব্যস্থলের দিকে যাচ্ছি। তবে এ পাহাড়ায় আমরা নিরাপদ বোধ করছি না। তাদের সহায়তায়ই যখন এই হামলা হয়েছে, তখন আমরা আশঙ্কা করছি যে তারা আবারও আমাদের হামলার মুখে ফেলবেন। অথবা তারা নিতান্তই নাটক করছেন। আমাদের বাসে আন্দোলনকারীরা গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে নিতে ভয় পাচ্ছি। এই আহতদের জন্য যারা এখনও পর্যন্ত তুলনামূলক সুস্থ, তাদের আবারও হামলার মুখে ফেলতে চাচ্ছি না।

দুপুর ২টা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের বাস নোয়াখালির বেগমগঞ্জে প্রবেশ করেছে।

লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় বলেন, ফেনীতে সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর উদ্দেশে বাসে ওঠার সময় লাঠিসোঁটা ইট নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলাকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করেছে পুলিশ। ঘটনার পর লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। শনিবার বিকেলে নোয়াখালী শহরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।

ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করে শুক্রবার কুমিল্লাতে অবস্থান নিয়েছিল ৫ শতাধিক লংমার্চকারীরা; সেখানে থেকে শনিবার সকালে আসে ফেনীতে।

সদ্য পাওয়া খবর পড়ুনঃ কর্পোরেট নিউজআন্তর্জাতিক নিউজ

Positive News Sites, Positive News Sites

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − six =

Back to top button