ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনাঃ ৬০ হাজার সৈন্য মোতায়েন চীনের
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, সীমান্তে ৬০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করেছে চীন।
জাপানে কোয়াড গ্রুপভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের পর নিজ দেশে ফিরে এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, বৈঠকে আমি ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ চারটি গণতান্ত্রিক দেশ যারা বিভিন্নভাবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কারণে ভোগান্তিতে আছে। এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন কোয়াড দলভুক্ত রাষ্ট্রগুলো নিশ্চুপ ছিল। যার কারণে চীনারা তাদের আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে।
এসময় তিনি বেইজিংয়ের খারাপ আচরণ এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠার সমালোচনাও করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার টোকিওতে বৈঠক করেন।
করোনা ভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর এটাই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।
দক্ষিণ চীন সাগর, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের সামরিক আগ্রাসন নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝে টোকিওতে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ৫ই সেপ্টেম্বর মস্কোর এক বৈঠকে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে এই অপহরণের অভিযোগ তোলেন। ওই বৈঠক অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের পথ তৈরি করা এবং দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলার প্রস্তুতি নেয়া।
কিন্তু এই অপহরণের অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে আবার নতুন করে বাক যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
চীন বলেছে সীমান্ত নিয়ে অচলাবস্থার জন্য “পুরোপুরি” ভারত দায়ী, এবং চীন “তাদের ভূখন্ডের এক ইঞ্চিও” জায়গা ছেড়ে দেবে না।
ভারত অভিযোগ করে চীন “সীমান্ত এলাকায় বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করছে, আগ্রাসী আচরণ করছে এবং একতরফা ভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টা করে প্ররোচনা সৃষ্টি করছে”।
লাদাখ সীমান্তে ১৫ই জুন রাতে চীন ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের চারজন প্রভাবশালী মন্ত্রী অর্থাৎ দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা ৫ই সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত মুখোমুখি হয়েছিলেন মস্কোতে।
সদ্য প্রকাশিত খবর দেখুনঃ কর্পোরেট জীবন – দেশবাংলা
Best Positive News Sites, Best Positive News Sites