বার বার আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয় রায়হানের, এসময় নির্যাতনে উল্টে ফেলা হয় তার দুটি নখও। প্রথমবার ময়নাতদন্তের পর এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, আখালিয়া কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে বৃহস্পতিবার হয়েছে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত।
গত ১১ অক্টোবর প্রথম দফায় ময়নাতদন্ত হয় রায়হানের। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু আঘাতের প্রমাণ পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও উল্টে ফেলা হয় রায়হানের দুটো নখও। এ তথ্য জানিয়েছেন ওসমানী মেডিক্যালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম।
মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন শেষে বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত হয়। ওসমানী মেডিক্যালে বিকাল ৪টায় ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এটি সম্পন্ন করেন তিন সদস্যের একটি বোর্ড। বিকেলে মরদেহ পুনরায় দাফন করা হয়।
এর আগে, সকাল ৯টার দিকে আখালিয়ায় নবাবী জামে মসজিদ কবরস্থানে যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখানে যান দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কবরস্থানের সামনের সড়কে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করে শুরু হয় মরদেহ উত্তোলনের কাজ। কবর থেকে মরদেহ তোলার পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পিবিআই। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হয় মরদেহ।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদ উজ জামান জানান, জড়িতদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে রায়হানের এলাকার বাসিন্দারা। এছাড়া, নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
সদ্য পাওয়া খবরঃ চালু হচ্ছে সিলেট-কক্সবাজার সরাসরি ফ্লাইট – ভাইরাল নিউজ
Positive Newsletter, Positive Newsletter