বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ এলাকা নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে চলমান সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরতি চায় বিদ্ধস্ত আর্মেনিয়া, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে ইউরোপের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা-ওএসসিই’র সঙ্গে কাজ করতে চায় আর্মেনিয়া।
সংঘাতে জড়ানোর ষষ্ঠ দিন শুক্রবার একথা জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওএসসিই’র সহ-সভাপতিত্বকারী ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতিতে যেতে চায় তারা।
এর আগে বৃহস্পতিবার এই তিন দেশ নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে চলা সংঘাত দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানায়। বিতর্কিত এই অঞ্চলটি নিয়ে কয়েক দশক ধরেই চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সংঘর্ষ।
যে জায়গাটির দখল নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী ও তাদের সমর্থনপুষ্ট মিলিশিয়ারা দখল করে নিয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এটি পরিচালনা করে জাতিগত আর্মেনীয়রা। তবে, দুটো দেশই এই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
শুক্রবারের বিবৃতিতে আর্মেনিয়া বলছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা যুদ্ধের ইতি টানতে চাই। তবে নাগোর্নো কারাবাগের বিরুদ্ধে যেকোন আগ্রাসনের কড়া জবাব দেবে আর্মেনিয়া।’
গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সিরিয়া থেকে ‘জিহাদিস গ্রুপে’র ৩০০ জন যোদ্ধা তুরস্ক হয়ে আজারবাইজানে প্রবেশ করেছে। তারা সবাই তুরস্কের নির্দেশে আজারবাইজানেরন পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।’
গণমাধ্যমের এমন খবরে ক্ষেপেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরণ। বৃহস্পতিবার এক বক্তব্য তিনি তুরস্ককে এই ঘটনার জন্য তীব্রভাবে তিরস্কার করে বলেছেন, ‘তুরস্ক বিপদ সীমা রেখা অতিক্রম করেছেন। ফ্রান্স এই ঘটনার ব্যাখ্যা তুরস্কের কাছে বৃহস্পতিবার একটি যুগ্ম আহ্বানে রাশিয়া, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের জন্য উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসতে আহ্বান জানান। তবে সেই আহ্বানে কান দিতে নারাজ তুরস্ক সমর্থিত আজারবাইজান।
গত রবিবার নতুন করে সংঘাত শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। এতে ৫৪ সেনা সহ ১৫৮ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি আর্মেনিয়ার।
আপডেট খবর পেতে দেখুনঃ আন্তর্জাতিক সংবাদ – আজকের ভাইরাল নিউজ Positive World News, Positive World News