কূটনীতি

রোহিঙ্গারা কালই যাক, ১০ বছরের প্রত্যাবাসন পরিকল্পনা নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবশ্যই ফিরে যেতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং এটা পুরো বিশ্বের দায়িত্ব।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ সোমবার গণমাধ্যমকে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র চাওয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা। আর সে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

মন্ত্রী বলেন – রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ১০ বছর মেয়াদি কোনো পরিকল্পনা চায় না, বরং আমাদের চাওয়া রোহিঙ্গারা কালই চলে যাক।

এছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিকের সামরিক অধ্যায়ে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন উপ- পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হবে না। কারণ আমরা এই সামরিক অধ্যায়ে যুক্ত হতে আগ্রহী নই। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, আর আমরা চাই শান্তি।

বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যাবাসন। ১০ বছরে কে কত টাকা দেবেন, সে বিষয়ে আমরা আগ্রহী নই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে বিষয়গুলো বলছেন, সেটি আমাদের সঙ্গে মিলছে না। একটা বলছে, মাল্টি-ইয়ার প্ল্যানিং। কিন্তু আমরা মাল্টি-ইয়ার প্ল্যানিংয়ের বিষয়ে নেই। মাল্টি ইয়ার পরিকল্পনা রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে আগ্রহী নই।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা বলছেন আঞ্চলিক দেশগুলো রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে। কিন্তু আমরা মনে করি, এটি শুধু আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বৈশ্বিক সমস্যা এবং সবার এগিয়ে আসা উচিত। কিন্তু তারা বলছে, এটি এই অঞ্চলের মধ্যে থাকলে ভালো।’

সাগরে জাহাজে ভেসে যাওয়া রোহিঙ্গাদের উদ্ধার ও অবতরণ এই অঞ্চলে হবে। অর্থাৎ তাদের কোনও দায়-দায়িত্ব নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটিতেও আমরা বিশ্বাস করি না। এর আগে আমরা ইউরোপিয়ানদের বলেছিলাম—আপনারা নিয়ে যান না কেন, আপনাদের জাহাজ দিয়ে। এই জন্য মনে হয় আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিতে চাচ্ছে।’

ওই বৈঠকে বাংলাদেশ এক নম্বর প্লেয়ার হওয়া উচিত বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত। ওনারা খালি মুখে বলে দিয়েছেন। কিন্তু কী নিয়ে আলাপ করবেন, সেটি আমাদের বিস্তারিত জানাতে হবে এবং সেটি বুঝে আমরা অংশগ্রহণ করবো।’

মন্ত্রী জানান, আগামী ২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গা বিষয়ক একটি ভার্চুয়াল সন্মেলন হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিনিধিরা এই সন্মেলন আয়োজন করছেন।

এছাড়াও তাঁর মতে, বেইজিংয়ের উদ্যোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে ত্রিদেশীয় একটি বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব রয়েছে এবং তাতে বাংলাদেশ রাজি। তবে শর্ত হলো, ওই বৈঠকে অং সান সুচির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও আপডেট খবর পেতে দেখুনঃ আন্তর্জাতিক নিউজ কর্পোরেট দুনিয়া

Rohingya Crisis, Rohingya Crisis, Rohingya Crisis

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 3 =

Back to top button