কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে। আহত অন্তত অর্ধশত।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-১-এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা। পরে, এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গেল রবিবারও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দু’পক্ষ। এতে তিন রোহিঙ্গা নিহত এবং সাত রোহিঙ্গা আহত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষে জড়িত ৯ রোহিঙ্গাকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে র্যাব।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র নতুন ও পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৪ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও একজন গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। উক্ত ক্যাম্পে বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষ থেমে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।”
এর আগে, গত ৪ ও ৫ অক্টোবর দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে র্যাব অভিযান চালিয়ে ৯ জন রোহিঙ্গা ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করে। এ নিয়ে সপ্তাহব্যাপী চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হলো।
আজ সন্ধ্যা থেকে আবারও রোহিঙ্গাদের দু’পক্ষ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তবে প্রকৃতপক্ষে কতজন এ ঘটনায় হতাহত হয়েছে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এপিবিএন সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আরও কবর পেতে দেখুনঃ প্রবাস বাংলা – বিনোদন সারাদিন
Rohingya News Bd, Rohingya News Bd