এ যেন রীতিমত তাণ্ডব। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে উথালপাতাল স্কোরবোর্ড। বোলার, ফিল্ডারদের দম ফেলানোর নেই ফুরসত। ২২ গজে বল যেরকমই হোক না কেন নাজমুল হোসেন শান্ত উড়াবেন সীমানায়।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা তার জন্য হয়ে উঠল বাউন্ডারির গালিচা। ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ – এ সেঞ্চুরি ছিল অধরা। বড় রান আসছিল কালেভদ্রে।
সেঞ্চুরির অপেক্ষা দূর করলেন মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। ছক্কা বৃষ্টিতে তিন অঙ্কের মাইলফলক ছুঁলেন বাঁহাতি ওপেনার। ৫২ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পেয়েছেন শান্ত। তবে একটুর জন্য বাংলাদেশের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়তে পারেননি। ২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিপিএলের ফাইনালে তামিম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৫০ বলে। শান্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ৫১ বলে। এবার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন ১ বল বেশি খেলে।
পেসার তাসকিন আহমেদের লেন্থ বল লং অফ দিয়ে সীমানায় পাঠিয়ে ৯৬ থেকে ১০২ রানে পৌঁছান শান্ত। সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে শান্ত হাঁকান ১০ ছক্কা। চার মারেন মাত্র ৪টি। কামরুল ইসলাম রাব্বীর বলে সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১১ রান। ৪ চার ও ১১ ছক্কায় ১৯৮.১৪ স্ট্রাইক রেটে বাঁহাতি ওপেনার নিজের ইনিংসটি সাজান।
তবে ইনিংসের শুরুতে এ ব্যাটসম্যান ছিলেন একেবারেই ধীরস্থির। ১৩তম বলে প্রথম বাউন্ডারি পান রাব্বীকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সীমানায় পাঠিয়ে। ডানহাতি পেসারের পরের শর্ট বল ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা। এর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
অষ্টম ওভারে তাসকিনকে চার ও ছক্কায় উড়ান দৃষ্টিনন্দন শটে। নবম ওভারে আফিফকে উইকেটে স্বাগত জানান লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে। দশ ওভারে বন্ধু মিরাজকে দুই ছক্কা হাঁকান ডিপ মিড উইকেট দিয়ে। শেষ ছক্কায় ৩২ বলে পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি।
পরের ২০ বলে হার্ডহিটার ছুঁয়ে ফেলেন একশ। ধ্রুপদী একেকটি শট, নিখুঁত টাইমিং আর দৃঢ় মনোবলে তার ব্যাটিংয়ে চিড় ধরাতে পারেননি কেউ। হাফ সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে সমান ৫টি করেই ছক্কা মেরেছিলেন শান্ত।
আরও আপডেট খবর পেতে দেখুনঃ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিউজ – কর্পোরেট সংবাদ
Latest Sports News Bd, Latest Sports News Bd