ভাইরাল

জয় হয়েছে প্রেমের, বৃদ্ধাশ্রমে বিয়ে!

ছেলে আমার মস্ত মানুষ…মস্ত অফিসার/ মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার। নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামি দামি/ সবচেয়ে কম দামি ছিলাম একমাত্র আমি। ছেলের আমার আমার প্রতি অগাদ সম্ভ্রম/ আমার এ ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার এই গানটি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে হুবহু মিলে যায়। দামি ফ্লাটে মা-বাবাকে বড্ড যেন ঝামেলা মনে হয়। তাইতো তাদের রেখে আসেন বৃদ্ধাশ্রমে।

কখনও পরিবার থেকে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে আবার কখনও চাপা কষ্ট বুকে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই নেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। সেখানে অচেনা-অজানারাই হয়ে ওঠে পরিবার। সুদিন ও দুর্দিনে তারাই পাশে দাঁড়ান। হয়ে ওঠেন শেষ জীবনের পরম বন্ধু। তেমনটাই হয়েছিল ষাটের কোঠা পেরিয়ে যাওয়া লক্ষ্মী আমল এবং কোচানিয়ান মেননের সঙ্গেও। পরিচয় পর্ব থেকে যে একে অপরকে মন দিয়ে ফেলবেন, তা-ও এই বয়সে, তা তারা হয়তো কখনও কল্পনাও করেননি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে বৃদ্ধাশ্রমেই তাদের বিয়ে হয়েছে।

স্বামীর মৃত্যুর পর বৃদ্ধাশ্রমে চলে আসেন লক্ষ্মীদেবী। আর পরিবারের থেকে লাঞ্ছনার শিকার হয়ে মাথার ওপর ছাদ খুঁজতে গিয়ে এই জায়গাতেই এসে পড়েন। কিন্তু দুজন ভাবতেই পারেননি, এই বয়সে এসে প্রেমে পড়বেন। নতুন করে সংসার পাতবেন। কিন্তু কথায় যে আছে, প্রেম না কি কোনো বাধা মানে না। হোক সেটা ধর্ম, বর্ণ বা বয়সের। চোখে-মুখে বয়সের ছাপ পড়লেও তা কী! শেষ বয়সে এসে প্রেমে পড়ে ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দিতে বৃদ্ধাশ্রমেই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন এই জুটি।

গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে-সব কিছুই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। আয়োজন করেন বৃদ্ধাশ্রমের অন্যান্যরাই। শনিবার এই প্রবীণ পরিণয়ে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ভি এস শিবকুমারও।

জানা গেছে, এই কোচানিয়ানই না কি এককালে লক্ষ্মীদেবীর স্বামীর সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। স্বামীর সেই সহকারীর শেষ জীবনে হয়ে গেলেন জীবনের সঙ্গী।

লাল বেনারসী পরে কনের সিংহাসনে বসে প্রেমিকের গালে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেন লক্ষ্মীদেবী। আর সেই ছবিই এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। নবদম্পতিকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রশংসায় ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই লিখেছেন, ‘আপনারই ভালো থাকার অনুপ্রেরণা।’

 

আরও খবরঃ হাস্যরসবিবিধ

Tag: Viral news today, today viral news

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =

Back to top button