মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান অ্যামনেস্টির
রাখাইন বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোসহ সামরিক নির্যাতনের বহুবিধ প্রমাণ থাকায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা বলছে, সংঘাতময় অবস্থার কারণে আরাকান বিদ্রোহীদের দমনের নামে নিয়মিতই রাজ্যটির বেসামরিক জনগোষ্ঠীর উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
আজ সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি বলেছে, প্রথম ধাপের স্বাক্ষী, ছবি এবং ভিডিও প্রমাণ করে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের কেন্দ্রস্থলগুলোতে নাগরিক দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সেখানে নিয়মিতই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।
অ্যামনেস্টি জানায়, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ, গণমাধ্যমে সরকারি কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করাও কঠিন।
কিন্তু ২০২০ সালে সাধারণ মানুষের উপর মিয়ানমার সেনাবহিনীর নির্বিচারে বিমান হামলা এবং গোলা নিক্ষেপের ঘটনা যাচাই করেছে অ্যামনেস্টি। ওই হামলায় শিশুসহ অনেকে হতাহত হয়।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সভায় সংস্থার কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট জানান, রাখাইন রাজ্যে সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে বলেও জানান তিনি।
অ্যামনেস্টির ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক মিঙ ইয়ু হাহ বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে ইদানিংকালে সংঘাত না হলেও বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে সর্বদাই খেসারত দিতে হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে চীন ও রাখাইন রাজ্যে পুতে রাখা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে বেসামরিক নাগরিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চীন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টের কাছে বাঁশকোড়ল সংগ্রহ করতে গিয়ে এক চিন নারীর মৃত্যুর ঘটনা তোলপাড় ফেলে দেয় সেখানে।
সবার আগে আপডেট নিউজ পেতেঃ রাজনীতির হালচাল – লাইফ স্টাইল নিউজ
UN News Update, UN News Update