ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, রাশেদ ও ফারুককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন নুর।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান তিনি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় বহিষ্কৃত এপিএম সুহেল বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্ববর্তী নাম ব্যবহার করে একটি কমিটি ঘোষণা করেছে। যেখানে ঐক্যবদ্ধ সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মধু, ঈসমাইল সম্রাট ও মুজাম্মেল মিয়াজিসহ কয়েকজনের উপস্থিতি দেখা গেছে। অতীতে সার্বজনীন আন্দোলনে তাদের উপস্থিতি কিছুুটা দেখা গেলেও সংগঠনের সঙ্গে তারা যুক্ত নন। আমরা মনে করি তাদের এই কর্মকান্ড আমাদের পথচলাকে ব্যহত করতে সরকারের দমন-পীড়ন ও চলমান ষড়যন্ত্রের একটি অংশ মাত্র।’
নূর জানান তারা শিগগিরই নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ গঠন করবেন এবং এটা জেনেই সরকার তাদের নানা ভাবে দমানোর চেষ্টা করছে।
“কারণ বাংলাদেশে এখন অগণতান্ত্রিক শাসন চলছে ও রাজনৈতিক দলগুলো কথা বলতে পারছেনা। সেখানে বাধা অতিক্রম করে আমরা একের পর এক সফল ছাত্র আন্দোলন করেছি। সরকার এসব কারনেই এখন কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন এমন কয়েকজনকে ব্যবহার করছে। তারাই আজ সংবাদ সম্মেলন করেছে আমাদের বিরুদ্ধে,” বলেন তিনি।
তবে সরকারের সাথে তাদের যোগসাজশের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হিসেবে আজ যার নাম ঘোষণা করা হয়েছে সেই এপিএম সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণা দিয়ে লিখিত বক্তৃতায় বলা হয়েছে, “নুরের একক সিদ্ধান্তে রাজনীতি করার প্রক্রিয়া শুরু হয় যা একপ্রকার স্বৈরতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত এবং সেই সাথে চরম বিরোধ সৃষ্টি করে সংগঠনের অভ্যন্তরে”।
এতে বলা হয়, “গুটিকয়েক নেতার অহমিকা, অহংকার, একরোখা সিদ্ধান্তের কারণে সাংগঠনিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে আমাদের হাজারো ত্যাগের বিনিময়ে গড়ে ওঠা সংগঠন। এরই ফলশ্রুতিতে একে একে বিভিন্ন কেলেঙ্কারি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে যা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং দুঃখজনক”।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রলীগের প্রার্থীকে হারিয়ে নুরুল হক নূর ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তার পর থেকেই তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন।
সম্প্রতি তিনিসহ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।
পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনেও মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থী।
World Positive News, World Positive News
সদ্য পাওয়া খবরঃ ইতিহাসের ডায়েরী – সারা বাংলার খবর