রাজনীতি

অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচনের মতোই বাংলাদেশে নির্বাচন হবেঃ ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।”

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আট লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় আমিনবাজার সেতু ও চার লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় সালেহপুর সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশে ঠিক সেভাবেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারের সাথে আলোচনার পর সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় থাকার কোনো কারণ নেই। এখানে বিএনপিরও প্রতিনিধিত্ব থাকে। এখন যে নির্বাচন কমিশন আছে এখানেও তাদের একজন দলীয় কমিশনার আছেন। যিনি প্রায়ই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত করেন। বিএনপি যে সুরে কথা বলে, তাদের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিও সেই সুরেই কথা বলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এখানে খেলাধুলা করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না। আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বের বিষয়ে বলা আছে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রশাসনিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এমনকি সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্সও দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেটা সরকারের অধীনে থাকে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তখন চলে যায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’

বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজে ভাষা বিএনপির মুখে শোভা পায়। তারা ২০১৩, ২০১৪ সালে আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে, রেলের লাইন পুড়িয়েছে, এমনকি তারা ভূমি অফিস পুড়িয়েছে। তারা আসলে আন্দোলনের নামে সহিংসতা করতে চায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরাও প্রস্তুত রয়েছি। আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে করার অধিকার সব গণতান্ত্রিক দলের রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি সহিংসতা হয় এবং জনগণের জানমালের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা হয় সে অবস্থায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজীব, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঠিকাদার লায়ন মোহাম্মদ ইমামসহ আরো অনেকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 11 =

Back to top button