ধর্ম ও জীবন

অন্যের বাবা-মাকে গালি দেয়ার পরিণতি ভয়াবহ!

গালি দেয়া মহাপাপ, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকি আর হত্যা করা কুফুরি। হাদিসের পরিভাষায় তা ‘আকবারুল কাবায়ির’ বা কবিরা গোনাহ। অনেকেই অজ্ঞাতসারে নিজের বাবা-মাকেও গালি দিয়ে থাকে। তবে এ গালির ধরন একটু ভিন্ন। আর কবিরা গোনাহের মধ্যেও এটি জঘন্যতম বড় গোনাহ।

মানুষ কি আসলেই কখনো নিজ বাবা-মাকে গালি দেন! বাবা-মাকে গালি দেয়ার এ বিষয়টি হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সুস্পষ্টভাষায় তুলে ধরে তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কবিরা গোনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের বাবা-মাকে লানত (অভিশপ্ত) করা। (সাহাবায়ে কেরাম) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কোনো লোক তার আপন বাবা-মাকে কীভাবে লানত করতে পারে?
তিনি বললেন, সে (কোনো ব্যক্তি যখন) অন্যের বাবাকে গালি দেয়, তখন সে তার বাবাকে গালি দেয় আর সে (কোনো ব্যক্তি যখন) অন্যের মাকে গালি দেয়, তখন সে তার মাকে গালি দেয়।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

হাদিসের বর্ণনায় এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, অন্যের বাবা-মাকে গালি দেয়ার অর্থই হচ্ছে নিজের বাবা-মাকে গালি দেয়া। তাদের লানত তথা অভিশম্পাত করা। গোনাহের ক্ষেত্রে এটি কবিরা গোনাহসমূহের মধ্যেও বড়।

নিজের অজ্ঞাতসার বাবা-মার প্রতি লানত করার বিষয়ে অনেকেই অবহিত নয়। তাই কারও জন্যই এটি শোভনীয় ও উচিত নয় যে, নে অন্যের বাবা-মাকে কিংবা অন্য কাউকে গালি দেবে, কটু কথা বলবে। কারও ব্যাপারে খারাপ মন্তব্য করবে। ইসলামে যে কাউকে গালি দেয়া অন্যায় ও কবিরা গোনাহ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানসহ সবার উচিত, কোনোভাবেই কাউকে গালি না দেয়া। সবার সঙ্গে সুন্দর ও উত্তম আচরন করা। কেউ যদি গালি দেয়; তবে সবর করা এবং তাকে গালি দেয়ার পরিণতি উত্তম আচরণ ও ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে বুজিয়ে দেয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের এ আহ্বান সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার তাওফিক দান করুন। অন্যের মা-বাবাসহ যে কাউকেই গালি দেয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 18 =

Back to top button