অভিযোগ অনিয়মের; এফিডেভিট শাখার সব কর্মকর্তাকে বদলি
‘অনিয়মের’ অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
মঙ্গলবার সকালে হাইকোর্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এফিডেভিট শাখার সবাইকে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে কতজনকে বদলি করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
এর আগে সোমবার আপিল বিভাগে একটি মামলার শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা বসানোর পরও অনিয়ম ঠেকানো যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় একটি মামলা ৩ নম্বর ক্রমিকে থাকার কথা থাকলেও তা ৯০ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তখন প্রধান বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘কী আর করব বলেন? এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না।’
এ সময় আপিল বেঞ্চে আরও চার বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সিসি কামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে।’ তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অনেকেই মামলার তালিকা ওপর-নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছেন।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না, বেতন বেশি হওয়ায় এমন হচ্ছে। বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।’
এরপর প্রধান বিচারপতি তৎক্ষণাৎ এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। আপিল বিভাগে এসে সিরিয়ালের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মেহেদী হাসান। তবে তার ব্যাখ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দিয়ে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। (সূত্র: বিডি-প্রতিদিন)